মোঃ আক্তার হোসেন ॥ আদালতের নির্দেশে হবিগঞ্জ শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকাস্থ দি জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের পরিচালক আরিফুল হক ও ডাক্তার এস কে ঘোষসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অপরদিকে তাদেরকে খুঁজছে পুলিশ। গা ঢাকা দেয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আজাদ আহমেদ। গতকাল বুধবার মামলাটি রুজু হয়। এরপরই পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে সাড়াশি অভিযান শুরু করে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, পেটের টিউমার নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন রহিমা খাতুন। পরে দালালরা ভুল বুঝিয়ে তাকে দি জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালে নিয়ে যান। সেদিন রাতে ডাঃ এস কে ঘোষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারীর পেট থেকে টিউমার অপসারণ করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর রহিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার দি জাপান-বাংলাদেশ হসপিটালে আসেন এবং সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকেও চিকিৎসকরা তাকে সিলেটে রেফার করেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসাইনের আদালতে বড় বহুলা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র রহমত আলী বাদি হয়ে দি জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের পরিচালক এ কে আরিফুল ইসলাম, কর্মরত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস কে ঘোষ এবং এ কে আরিফুল ইসলামের ভাই তাবির হোসেন ও ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান জনি আহমেদকে আসামি করে মামলা করেন। পরিচালক এ কে আরিফুল ইসলাম ও তাবির হোসেন সাবেক ইউপি মেম্বার কাঞ্চন মিয়ার পুত্র। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে রুজু করার জন্য সদর থানাকে নির্দেশ দেন। ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।