প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর সহপাঠীদের উপর বখাটে ও তার লোকদের হামলা ॥ থানায় অভিযোগ
আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ বানিয়াচংয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও তার ওড়না ধরে টানাটানি করেছে এক বখাটে। ছাত্রীর সহপাঠিরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী কায়দায় পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটে ও তার লোকজন। অভিযুক্ত মেহেদী মিয়া (২১) দোকানটুলা গ্রামের আমির আলীর পুত্র।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলার ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের তোপখানা মাদ্রাসা এলাকায়।
বানিয়াচং সুফিয়া মতিন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর নির্যাতিত ওই ছাত্রী ঘটনার পরপরই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে বানিয়াচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, তোপখানা মাদ্রাসার তিন রাস্তার মোড় এলাকায় বখাটেদের আড্ডা বসে দিন-রাত। ঘটনার সময় নির্যাতিত ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহপাঠিদের সাথে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত মেহেদী পথরোধ করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। হতভম্ব ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত মেহেদী ওড়না ধরে টানাটানি করে। ছাত্রীর সহপাঠিরা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে প্রতিবাদ জানালে, মেহেদী তাদেরকে কিলঘুষি মেরে জখম করে। এ সময় পথচারী ও ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে অভিযুক্ত মেহেদী চিৎকার করে তার নিজের লোকজন নিয়ে ছাত্রীর সহপাঠিদের উপর রড ও লাঠি নিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। বখাটে ও তার লোকজনের সন্ত্রাসী হামলায় সুফিয়া মতিন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র প্রভাস সরকার (১৫), শিহান মিয়া (১৭) ও শামীম মিয়া (১৬) আহত হয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুফিয়া মতিন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী জানান, বুধবার সকালেও ওই বখাটে মেহেদী আমার পিছু নিয়েছিলো। আমি এসময় প্রতিবাদ করায় আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি প্রশাসনের নিকট।
সুফিয়া মতিন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সুপারিডেন্টেন আবু মোহাম্মদ বশির খান জানান, ঘটনা শুনার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে ঘটনার সত্যতা পাই। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ঘটনা অবহিত করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার না হলে এলাকায় এধরনের অপরাধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, থানা পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ ঘটনার ব্যাপারে অবহিত আছেন জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলে দিয়েছি। আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য থানা পুলিশকে বলে দিয়েছি।