স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যাংক আমানতকারীদের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত আমানতে সর্বোচ্চ মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক সার্কুলারে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণে নতুন এই মাশুল নির্ধারণ করা হয়। করোনা মহামারির কারণে আমানতকারীদের এই সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুবিধা শুধু চলতি বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদান ও আমানত বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতিবিশিষ্ট সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে বছরে দুবারের পরিবর্তে একবার হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল আদায় করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে।
এতে বলা হয়, এর আগে ব্যাংক খাতে আমানত বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র আমানতকারীদের ব্যাংকমুখী করার লক্ষ্যে গড় আমানত স্থিতির ওপর ভিত্তি করে সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে রক্ষণাবেক্ষণ মাশুল পুননির্ধারণ করে দেয়া হয়। উক্ত পুননির্ধারিত হার অনুযায়ী ব্যাংকগুলো বছরে দুবার একটি হিসাব হতে মাশুল আদায় করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি হিসাব থেকে ৬ মাসের জন্য কোনোভাবেই ৩০০ টাকার বেশি মাশুল আদায় করা যাবে না। অর্থাৎ বছরে নেয়া যাবে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। সঞ্চয়ী হিসাবে গড় আমানত ১০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলে হিসাব পরিচালনার জন্য ব্যাংক কোনো মাশুল নিতে পারবে না। আর গড় আমানত ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে থাকলে প্রতি ৬ মাসে ১০০ টাকা মাশুল নেয়া যাবে।
গড় আমানত ২৫ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা হলে প্রতি ৬ মাসে মাশুল হবে ২০০ টাকা। ২ লাখ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত আমানতে মাশুল হবে ২৫০ টাকা। আর সঞ্চয়ী হিসাবে ১০ লাখ টাকার বেশি গড় আমানতে মাশুল হবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা।