শিক্ষায় মুজিব-মুজিবের শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহির
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারা দেশে চলছে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী মুজিব বর্ষ। গত বছর যখন মুজিব বর্ষের কার্যক্রম শুরু হয় তখন করোনার কারণে অনেক কর্মসূচি স্থগিত হয়ে যায়। পরে সরকার এ বছরের শেষ পর্যন্ত মুজিব বর্ষের মেয়াদ বৃদ্ধি করে। হবিগঞ্জেও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। জেলার বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখন পর্যন্ত তেমন বড় কোন আয়োজন চোখে পড়েনি। তবে গতকাল হবিগঞ্জ শহরের সেন্ট্রাল ক্রিয়েটিভ কলেজের অনন্য আয়োজন সবাইকে তাক লাগিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে “শিক্ষায় মুজিব-মুজিবের শিক্ষা” শীর্ষক আলোচনা সভার ব্যনারে ছিল অনেক সৃজনশীল আয়োজন। যে আয়োজনে মুগ্ধ হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। এই অনুষ্ঠানে আবার হবিগঞ্জে শিক্ষার উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য দেয়া হয় তাঁকে সংবর্ধনা।
হবিগঞ্জ শহরের শ্মশানঘাট এলাকায় কলেজ নির্বাহী কমিটির সভাপতি গৌর শংকর দাসের সভাপতিত্বে এবং জালাল উদ্দিন রুমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন এমপি মোঃ আবু জাহির। সম্মানিত অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক শাকিল, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ এবং কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি আবু জাহির সেন্ট্রাল ক্রিয়েটিভ কলেজের এই অনন্য আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে মন্তব্য করেন ‘‘সেন্ট্রাল ক্রিয়েটিভ কলেজের নামের সাথে কাজের সামঞ্জস্য আছে”। অল্পদিনে জেলায় শিক্ষার মান ও ভাল ফলাফলে মুগ্ধ হয়ে তিনি সেন্ট্রাল ক্রিয়েটিভ কলেজের জন্য ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৪ তলা ভবন নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়াও ওই কলেজে ১৭টি কম্পিউটারের একটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও নগদ ৫ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।
এমপি আবু জাহির বলেন, জাতির পিতার হাত দিয়েই দেশের শিক্ষার উন্নয়নের বুনিয়াদ সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি এই দেশের মানুষের মুক্তির জন্য ১২ বছর জেল কেটেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এক সাথে ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। ফাাক বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ করেছিলেন। গঠন করেছিলেন খুদরতী খোদা শিক্ষা কমিশন। পরে আর কেউ সেদিকে নজর দেয়নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও তার পিতার দেখানে পথে এক সাথে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করণ করেন। আমি এই সরকারের একজন এমপি হওয়ায় আজ হবিগঞ্জবাসীকে মেডিক্যাল কলেজে ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনে দিতে পেরেছি।
পরে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরকে কলেজের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর আগে প্রধান অতিথি কলেজের পরিচালকদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের এবং অতিথি শিল্পীরা অংশ নেয়।