স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিপন মিয়া (২০) নামের এক শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লম্পট শিপন শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার দাউদনগরের আয়েজ আলীর ছেলে। সে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। শিপনের দাবি এক বছর ধরে ওই ছাত্রীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই সুযোগ বুঝে দুজন দেখা করতো এবং মেলামেশা করতো। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ওই ছাত্রীর মা তাদের মেলামেশায় বাধা দেন। গত ৫ জানুয়ারি তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এক পর্যায়ে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু দুই পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ায় তাদের মাঝে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এ ছাড়া ওই কিশোরী অপ্রাপ্ত বয়স্ক। গত ৭ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন মেয়েটির মা। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা রুজুর নির্দেশ দেন। ওসি মামলা রুজু করে ২৩ জানুয়ারি রাতে শিপনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গতকাল রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনার ঝড় বইছে। মেয়েটি শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে আমরা আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি।