জমি থেকে চালক সেজু’র লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন
ঘাতকরা প্রথমে সেজুর গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগায়, এরপর হাতের কব্জি ও পায়ের রগ কেটে এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে
এসএস সুরুজ আলী ॥ নবীগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালককে হাতের কব্জি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর লাশ জমিতে ফেলে রেখে নিয়ে যায় অটোরিকশা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আমির মিয়া নামে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হবিগঞ্জের বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহর থেকে ১শ’ টাকায় একটি অটোরিকশা ভাড়া করে সোহাগ, শোয়েব মিয়া এবং রুবেল মিয়া নামে ৩ যুবক। গাজীরটেক পয়েন্ট থেকে আমির মিয়া নামে আরও একজন ওই অটোরিকশায় উঠে। তারা গাড়িটি নিয়ে পূর্ব তিমিরপুর এলাকায় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গাড়িটির চালক আবিদ উল্লাহ সেজুর গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগায়। একপর্যায়ে একটি ছুরি দিয়ে তার হাতের কব্জি ও পায়ের রগ কেটে ফেলে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেজু মারা গেলে দুর্বৃত্তরা লাশ পাশর্^বর্তী একটি জমিতে ফেলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। ২৭ আগস্ট তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই রাজু বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশ আমির মিয়া, শোয়েব মিয়া ও সোহাগকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে আমির মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে শোয়েব মিয়াকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ঘটনায় মামলার অন্যতম সাক্ষী হাসিনা বেগম পলাতক আসামী রুবেলের বোন। হাসিনা বেগমও আদালতে নিজের জবানবন্দি দিয়েছেন। ছিনতাই হওয়া গাড়িটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে রুবেলকে গ্রেফতার করতে পারলে এটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।