সংঘর্ষ চলাকালে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ॥ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়
সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই থেকে ॥ লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজারে পুলিশের সোর্স দাবিদারদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশের দুই সোর্সের মধ্যে মোটরসাইকেল উদ্ধার নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর বুধবার রাতে লাদিয়া এলাকার এনামের একটি মোটরসাইকেল বুল্লা বাজারে সিংহগ্রামের শাহ আলম আটক করেন। বিষয়টি লাখাই থানা পুলিশকে অবগত করেন পুলিশের সোর্স আলজার মিয়া। পরবর্তীতে বিষয়টি মিমাংসা করে মোটরসাইকেল এর মালিক এনামকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এসময় মোটরসাইকেল আটকের ঘটনায় পুলিশের আরেক সোর্স সিংহগ্রামের মৃত সায়েদ মিয়ার ছেলে সামছু মিয়ার নাম আসায় সে ক্ষিপ্ত হয়। এই মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের ঘটনার সূত্র ধরে পরদিন অর্থাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামসু মিয়া ও আলজার মিয়ার লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সামছু মিয়া, আলজার মিয়া, আশিক মিয়া সহ আরো কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সকলেই দোকান বন্ধ করে ফেলেন। এসময় কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়।
এক পর্যায়ে লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমনের নেতৃত্বে ও এসআই শফিকুর রহমান ও এসআই সজীব দেব রায় সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে বুল্লা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুকুর রহমান মাসুক বলেন- তাদের মধ্যে বুল্লা বাজারে এ ধরনের হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটলে বাজারে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বুল্লা বাজারের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন যে পুলিশের সোর্স খ্যাত আলজার ও সামছু মিয়া পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে রাত ৮টার পর বুল্লা সড়ক বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করেন।
এ বিষয়ে লাখাই থানা পুলিশের এসআই সজীব দেব রায় বলেন মোটরসাইকেলের বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছিল। দু’পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের সূত্র ধরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।