স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে হবিগঞ্জ শহরে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব রইছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা এম.এ জলিলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- উস্তাদুল ওলামা আল্লামা ফরিদ আহমদ, মাওঃ গোলাম মোস্তফা নবীনগরী, পীরজাদা মাওঃ মাহমুদুর রহমান চিশতি, মুফতি আব্দুল মজিদ পিরিজপুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আউয়াল, মাওঃ আবু তৈয়ব মুজাহিদী, মুফতি আলমগীর হোসাইন সাইফী, মুফতি আবুল বাশার হানাফী, মাওঃ শাহআলম, হাফেজ মাওঃ রেজাউল করিম, মাওঃ যুবায়ের আহমদ, মাওঃ কয়েছ আলী, হাফেজ মাওঃ আকরাম হোসেন, মাওঃ মুজিবুর রহমান, মাওঃ নজরুল ইসলাম, মুফতি নুরুল ইসলাম আনছারী, মাওঃ আব্দুল আলীম, মুফতি মাওঃ আলআমিন ও হাফেজ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন- ফ্রান্সে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ইসলামকে অবমাননা করে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করার মাধ্যমে সারাবিশ্বের মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। কেননা মুসলমানগণ প্রিয় নবীকে তাদের জানের চাইতেও ভালবাসেন। দিন দিন সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে কাফির, নাস্তিকদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। মুসলমানদের মনে আঘাত দেওয়ার জন্যই এ ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই ফ্রান্স সরকারের এই কর্মকান্ডের নিন্দা জানাতে হবে এবং রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। অন্যথায় মুসলমানদের আন্দোলন সারাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে বলে বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সভাপতি আলহাজ্ব রইছ মিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন- মুসলমান মাত্রই প্রিয় নবীকে জানের চাইতে বেশি ভালবাসেন। মহানবীর এই অবমাননা মুসলমানরা কখনও বরদাশত করতে পারে না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো যদি অনতিবিলম্বে মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে মুসলমানদের আন্দোলন আরো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে নিন্দা জ্ঞাপন সহ ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে বহিস্কারের জন্য সরকারের নিকট তিনি জোর দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে হাজারো মুসলিম জনতার সমম্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌধুরীবাজার চৌরাস্তার মোড়ে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরিশেষে সভাপতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।