স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এক ব্যক্তির বাসা দখলের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিশ বাসা দখলকারী কাউকে আটক না করে বাসার মালিকপক্ষের ৭ জনকে আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দিনদুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।
সূত্র জানায়, ওই বাসার মালিক আব্দুর রহিম ৪৫ বছর আগে বাসাটি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। অন্যদিকে একই এলাকার সৈয়দ মাহবুব নামের এক ব্যক্তির বাসার সামনে ওই বাসাটি হওয়ায় সুযোগে তিনি স্বল্পমূল্যে বাসাটি ক্রয় করতে চান। কিন্তু আব্দুর রহিম বাসাটি বিক্রি করতে না চাইলে মাহবুব ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বাসার মালিক আব্দুর রহিমের উপর। এদিকে আব্দুর রহিম বয়স্ক হওয়ায় বাসাটি দেখাশুনা করার জন্য তার নিকটতম আত্মীয় ঠিকাদার মহিবুল ইসলাম শাহীনকে আমোক্তারনামা হিসেবে দায়িত্ব দেন। প্রায় একমাস ধরে ওই বাসায় শাহীনের মাধ্যমে সংষ্কার কাজ করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে কাজ করা অবস্থায় সৈয়দ মাহবুবের লোকজন ওই বাসাটি দখলের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে সদর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কোন কিছু না বলে ওই বাসার কেয়ারটেকার আরজু মিয়া, শ্রমিক সোহেল, মোশাহিদসহ ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই সুযোগে সৈয়দ মাহবুবের পক্ষের আলমগীর ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসা দখল করার জন্য প্রবেশ করে।
এ ব্যাপারে মহিবুল ইসলাম শাহীন জানান, আমি প্রায় এক মাস ধরে শান্তি শৃংখলভাবে বাসার কাজ করাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমার বাসার শ্রমিকদের ধরে নিয়ে যায় এবং দুস্কৃতিকারী লোকজনকে সুযোগ করে দেয় এবং দুস্কৃতিকারীরা বাসার দেয়াল ভাংচুর করে ঘরে থাকা জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এদিকে এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবত আব্দুর রহিম পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন ওই বাসায়।
সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, কোর্টের আদেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাকে পেয়েছে তাকেই আটক করেছে। তবে পরে যদি কেউ বাসা দখল করে থাকে তা আমার জানা নেই।