হবিগঞ্জে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উক্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা প্রান্তে সংযুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার তওহীদ আহমদ সজল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মর্জিনা আক্তার, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন প্রমূখ।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- খাদ্য নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত থাকে, প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন খাবার পৌঁছে সেজন্য হতদরিদ্র যারা আমরা তাদের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার দিয়ে যাচ্ছি এবং এটা অব্যাহত রাখব সব সময়। একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না, একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে, তাদের দোরগোড়ায় আমরা চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিচ্ছি এবং কোনো মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগবে না। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মানুষকে সহায়তা দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেন খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টির নিশ্চয়তা হয়, মানুষ যেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- এক ইঞ্চি জমিও কেউ ফেলে রাখবেন না। গাছ লাগান, ফল লাগান, তরিতরকারি লাগান। যে যা পারেন কিছু লাগিয়ে নিজের উৎপাদন বাড়ান। তিনি বলেন, খাদ্যটা হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই খাদ্য নিশ্চয়তা যদি আমরা দিতে পারি, আমাদের মানুষগুলোকে আমরা বাঁচাতে পারি, সেই সঙ্গে মানুষও কাজ পায়। যার যেটুকু জমি আছে সবাই যেন কাজ করেন। আমাদের প্রত্যেকটা কাজের লক্ষ্য কৃষকদের সুবিধা দেয়া। সেদিকে লক্ষ্য রেখে যখনই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে, তখনই আমরা সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করেছি আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। খাদ্য নিশ্চয়তা রাখতে হবে। কারণ এই করোনা ভাইরাসের কারণে যখন সারাবিশ্ব স্থবির, তখন একটা দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যেন তার প্রভাব না পড়ে, বাংলাদেশের মানুষ যেন এ ব্যাপারে কোনো কষ্টভোগ না করে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন এই বিশ্বকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করি। আর বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের একটাই চিন্তা জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে পারব।