স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে ৩ সন্তানের জননী ও চুনারুঘাটে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ চুনারুঘাটের কিশোরীকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছে এবং ধর্ষককে খুঁজতে অভিযান চালাচ্ছে। নবীগঞ্জে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে নবীগঞ্জ থানায় মামলা না নেয়ায় হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত (৩) এ মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ।
সূত্র জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার চাঁনভাঙ্গা মিরের পাড়া গ্রামে এক কিশোরীকে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় লম্পট মিজান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চুনারুঘাট থানার ওসি আলী আশরাফ জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরী বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। মেডিকেলের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ওই কিশোরী জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেউ বাড়ি না থাকার সুযোগে একই গ্রামের মফিজ মিয়ার পুত্র মিজান মিয়া (২০) ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার সাথে পাহারায় ছিল আব্দুল মালেকের পুত্র শাকিল মিয়া (২০)। ঘটনার পরপরই তারা পালিয়ে যায়। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে নবীগঞ্জের নির্যাতিতা নারীর মামলা সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গোতগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রবের পুত্র আব্দুল খলিছ ও নির্যাতিতা নারী জগন্নাথপুর সীমান্তবর্তী নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা। ওই গৃহবধূ রাস্তাঘাটে বের হলে খলিছ তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। এতে সে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে খলিছ। গত ১০ অক্টোবর শুক্রবার ওই নারীর স্বামী তার সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। ভিকটিম রাতের খাবার শেষে তার বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়লে রাত প্রায় ১১টার দিকে আব্দুল খলিছ কৌশলে রুমের দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে হত্যার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা না নেয়ায় ওই নির্যাতিতা আদালতে মামলা করেন।