অভিযোগ রয়েছে লাখাই উপজেলার করাব ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা মিয়া ও ভিংরাজ মেম্বার মধ্যরাতে ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। মেয়েটির চিৎকারে লোকজন এসে বাদশা মিয়াকে আটক করলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হন ভিংরাজ মেম্বার। পুলিশ বাদশাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এলাকায় ওই নারীর চলাফেরাও প্রশ্নবিদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি, করাব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা মিয়াকে (৬৬) উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত ভিংরাজ মিয়া (৫০) পালিয়ে বেঁেচছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে লাখাইর পূর্ব সিংহগ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক বাদশা মিয়া পশ্চিম সিংহগ্রামের বাসিন্দা ও মেম্বার ভিংরাজ মিয়া পূর্ব সিংহগ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্র জানায়, পশ্চিম সিংহগ্রামের বাসিন্দা শারমিন জাহান রিপন রাত ১টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে প্রস্রাব করার জন্য বাইরে টয়লেটে যান। এ সুযোগে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বাদশা মিয়া ও ভিংরাজ মেম্বার ঘরে প্রবেশ করে শারমিনের খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। শারমিন টয়লেট থেকে ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে বিদ্যুতের লাইট বন্ধ করে শুয়ে পড়েন। এসময় তারা দুজন শারমিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শারমিন চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে বাদশা মিয়াকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে বেধে রাখেন। অপরদিকে, সুযোগ বুঝে কৌশলে ভিংরাজ মেম্বার পালিয়ে যান। শারমিন বিষয়টি লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) অজয় চন্দ্র দেবকে অবগত করেন। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদশা মিয়াকে থানায় নিয়ে যান। গতকাল শুক্রবার শারমিন জাহান রিপন বাদী হয়ে দুই জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে বাদশা মিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) অজয় চন্দ্র দেব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ এর কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শারমিন জাহান রিপনের ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে হয়েছে। তার ২টি সন্তানও রয়েছে। এদিকে নতুন করে শারমিন জাহান রিপন ও বাদশা মিয়া কেলেংকারীর ঘটনায় ২ জনের চরিত্র নিয়েই এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। বাদশা মিয়া আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে খুব জোরেসোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ইতিপূর্বেও তিনি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।