স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদে ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বিল-২০২০’ পাস হওয়ায় হবিগঞ্জ জেলার সর্বত্র মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা করা হয়েছে। শুক্রবার পবিত্র জুম্মার নামাজের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি’র মঙ্গল কামনায় মসজিদগুলোতে মোনাজাত এবং মুসল্লীগণেণের মাঝে তাবারুক বিতরণ হয়।
এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন মন্দিরে প্রার্থনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিলটি পাস হওয়ার পর সংবাদপত্রে বিবৃতিতে সকল ধর্মের মানুষজনকে প্রার্থনার জন্য অনুরোধ জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী।
এদিকে, টাউন হল রোডস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জন্য দোয়া কামনা করেন এমপি আবু জাহির। তিনি বলেন, আমি নিউফিল্ডের জনসভায় হবিগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে চারটি দাবি উত্থাপন করলে সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। এসব দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জে উন্নয়ন-অগ্রগতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হল। তাই আসুন সকলে মিলে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু কামনায় মোনাজাত করি।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর ছিল হবিগঞ্জবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ওইদিনে নিউফিল্ডের জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি নিজের প্যাডে হবিগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাল্লা স্থলবন্দর আর শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এগুলো বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। সেদিন আবু জাহির এমপি ও জনতার ঢলকে নিরাশ করেননি প্রধানমন্ত্রী। দাবি’র পরিপ্রেক্ষিতে দিয়ে দেন প্রতিশ্রুতিও। এর কয়েক বছর পরই প্রতিষ্ঠা পায় শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ হয় দেশের সর্বশেষ উপজেলা, চলমান রয়েছে বাল্লা স্থলবন্দরের কাজও। অবশেষে হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিল পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর চার প্রতিশ্রুতি। হবিগঞ্জে হবে দেশের সপ্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এমন খবরে জেলাজুড়ে আনন্দ-উল্লাস করছেন হবিগঞ্জবাসী।