জনগণের সাথে পৌর কর্তৃপক্ষের নগদ টাকার লেনদেন নেই
ফয়সল মাহমুদ ॥ পৌর নাগরিকসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং ডিজিটাল সেন্টার। শুধু সাড়া জাগানো নয় জনগণের মাঝে এটি আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পৌরসভার সেবা প্রত্যাশীরাও কোন প্রকার ঝামেলা ও হয়রানী ছাড়া নিজেদের কাজ করতে পেরে খুশি।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং ডিজিটাল সেন্টারের উপজেলা ম্যানেজার মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন ইমন জানান- ব্যাংক এশিয়া হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম, বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলাসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৭৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সকল প্রকার ভাতা এই এজেন্ট ব্যাংকিং ডিজিটাল সেন্টার থেকে গ্রহণ করতে পারছেন সুবিধাভোগীরা। তাছাড়া বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ উত্তোলন এবং যে কোন ব্যাংকে টাকা প্রেরণ ও উত্তোলন করা যাচ্ছে এই ডিজিটাল সেন্টার থেকে। শুধু তাই নয় বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থের বিপরীতে সরকার নির্ধারিত ২% প্রণোদনাও দেয়া হয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া জানান- পৌরসভায় আসা সেবা প্রত্যাশীরা ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কোন প্রকার ঝামেলাবিহীন তাদের কাজ করতে পারছেন। পৌরসভার বিভিন্ন সেবার বিপরীতে যেমন জাতীয়তা সনদ বাংলা ৫০ টাকা, ইংরেজি ১শ’ টাকা, বাংলা বিবিধ সনদ ও প্রত্যয়ন ১শ’ টাকা, ওয়ারিশান সনদ ৫শ’ টাকা, হোল্ডিং এর নাম পরিবর্তন ৫ হাজার টাকা, টমটমের নম্বর প্লেইট ৫ হাজার, অটোরিক্সা/অটোভ্যান নম্বর প্লেইট ৫শ’, রিকশা/ভ্যান নম্বর প্লেইট ৩শ’ টাকা, ঠিকাদারী লাইসেন্স তালিকাভূক্তি ৫ হাজার টাকা, ঠিকাদারী লাইসেন্স নবায়ন ২ হাজার টাকা, ঠিকাদারী লাইসেন্স বহি ৫শ’, আবেদন ৫শ’, ইমারত নির্মাণ আবেদন ১ হাজার, জন্ম সনদ বাংলা ৫০, ইংরেজি ১ হাজার, মৃত্যু সনদ বাংলা ৫০, ইংরেজি ২শ’, তথ্য সংশোধন ১শ’ টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়। আর এ সবকিছুই করতে হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে স্লিপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় গেলে মিলে ঝামেলাহীন কাক্সিক্ষত সেবা। মেয়র জানান- পৌরসভায় কারো কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করা হয় না। ব্যাংকের মাধ্যমে সকল লেনদেন সম্পন্ন হয়। তাই কেউ টাকা দিয়ে কোনপ্রকার প্রতারণা বা হয়রানীর শিকার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর এজেন্ট ব্যাংকিং ডিজিটাল সেন্টারের শাখাটি পৌরসভার অভ্যন্তরে হওয়ায় সেবা প্রত্যাশীরাও সহজে কাজ করতে পেরে অনেক খুশি।