মেম্বারকে গুম ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে ॥ এবার ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৬নং রাজিউড়া ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আহমেদ শেখ কামালের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একের পর এক দায়ের করছে মিথ্যা অভিযোগ। ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। কুচক্রী মহলের মিথ্যা অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তিনি।
সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট চেয়ারম্যান এনামুল হক আহমেদ শেখ কামালের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে ভিজিডি’র চাল আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবদাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার বড় বোন মৃত রহিমা খাতুনের নামে তিনি চাল তুলে আত্মসাত করছেন এবং কার্ড দেয়ার নাম করে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। প্রকৃতপক্ষে এখানে চেয়ারম্যান শেখ কামালের কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। মূল ঘটনা হল ভিজিডি’র কার্ড প্রত্যেক ওয়ার্ড মেম্বারদের সমম্বয়ে করা হয়েছে। এখানে যদি কোন ঘাটতি থেকে থাকে তা হলে এর জন্য মেম্বার দায়ী হতে পারেন। তবে বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এখানে চেয়ারম্যানকে সংশ্লিষ্ট করেছে। যা অদৌ সত্য নয়।
এছাড়াও চেয়ারম্যান শেখ কামালের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে ও পরে রাজিউড়া ইউনিয়নের এক মেম্বারকে গুম ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। যা পরবর্তীতে মিথ্যা অভিযোগ বলে প্রমাণিত হয়েছে। নারী নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছিল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তা ভিকটিম নিজেই হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যানের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান।
এদিকে, গতকাল বুধবার দৈনিক লোকালয় বার্তা পত্রিকায় চেয়ারম্যান মেম্বারদের বক্তব্য লেজে গোবরে ‘বাজিউড়ায় ভিজিডি’র চাল গেল কোথায়’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা আদৌ সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে গত ২৮ জুলাই হবিগঞ্জ লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভিজিএফের চাল ১৮১২ জন সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও জিআর-এর চাল ১০ কেজি করে ৪শ’ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ২৯ জুলাই ভিজিডির চাল ১শত ৭৯ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। যা ২৮ জুলাই উত্তোলন করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আহমেদ শেখ কামাল জানান, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অত্যন্ত সততা ও আদর্শের সাথে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। করোনায় আমি অসুস্থতা থাকার পরও জনগণের পাশে রয়েছি এবং নিয়মিত অফিসে যাচ্ছি। এছাড়াও আমার সময়ে ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্টসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। তারপরও কিছু দুস্কৃতিকারীরা আমার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করিয়াছে। যা মানহানিকর। তাই আমি চাই আমার দায়িত্বকালীন সময়টুকু আমি মানুষের সেবায় যেন কাজ করে যেতে পারি।
স্থানীয়রা বলছেন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামাল একজন নির্লোভ ব্যক্তি। যে কারণে লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে তিনি দিন রাত সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একের পর এক দায়ের করছে মিথ্যা অভিযোগ। ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এসবের কারণে চেয়ারম্যান শেখ কামালের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।