করোনার পাশাপাশি মাধবপুরে ডাকাত আতংক
জামাল মোঃ আবু নাছের, মাধবপুর থেকে : করোনার আতংকের পাশাপাশি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এখন ডাতাক আতংক বিরাজ করছে। এ আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের। গত শুক্রবার দিবগত রাতে উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা ঘরের লোকজনের হাত পা বেধে নগদ ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা,১০ ভরি স্বার্ণালংকারসহ প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এনিয়ে গত নয় দিনে চার বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও ডাকাতি হয়েছে কলেজ অধ্যক্ষ, এক নারী ইউপি সদস্যে ও এক মাতব্বরের বাড়িতে। তবে পুলিশ বলছে করোনা ভাইরাসের কারনে অনেকই বেকার হয়ে গেছে। এতে তারা এ সব ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ জানান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে মহল্লায় মহল্লায় পাহাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘিলাতলী গ্রামের বাসিন্ধা মৃত আলী আকবর খানের ছেলে পুলিশের এটিএসআই আনোয়ারুল আলম খান বলেন ১০ থেকে ১২ সদস্যের একটি ডাকাতদল ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ছোট ভাই আইনজীবি শাহনুর আলম খান ও তার মাসহ পরিবারে অন্যান সদস্যদের হাত পা বেধে মারধর করে আতংক সৃষ্টি করে। এ সময় এ মালামাল গুলো লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার পরিবারে পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ মার্চ উপজেলার চৌমহনী ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্যে ও কমলানগর গ্রামের বাসিন্ধা সেলিনা আক্তারের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা স্বার্ণালংকার মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ জসিম উদ্দিন নামে এক ডাতাকে গ্রেফতার করেছে।
গত ২২ মার্চ চৌমহনী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অলিপুর গ্রামের বাসিন্ধা মোহন মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। একই কায়দায় ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে নগদ ৪০ হাজার টাকা, স্বার্ণলংকার,টিভিসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
গত ২৬ মার্চ উপজেলা ছাতিয়াইন ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের সানু মিয়া নামের এক মাতব্বরের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা তাকে হাত পা বেধে মারধর করে নগদ টাকা,শরিষা,চাল,ডাল ও মুল্যবান দলিল পত্র লুট করে নিয়ে যায়। সানু মিয়া বলেন এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
দাসপাড়া গ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে ছাতিয়াইন পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বলেন ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আসামীদের ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাতাকি প্রসঙ্গে মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম বলেন ঘটনা স্থল পরিদর্শক করেছি। তাদের কথা বার্ত ও আলামত দেখে ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হয়।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন করোনার কারনে কাজকর্ম না থাকায় দূর্বৃত্তরা এ সব ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে মহল্লায় মহল্লায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।