স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী তিনি এই সময়ে বিদেশ যেতে পারবেন না। নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। বয়স ও মানবিক বিবেচনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দন্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শর্ত হল- এই সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তাঁর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে খালেদা জিয়া ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা (উপধারা-১) অনুযায়ী তার মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই মুক্তি পাবেন কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার দুপুরের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি। সচিব বলেন, এরই মধ্যে আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির ফাইল হাতে পেয়েছি। এখন আমরা এ বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। মন্ত্রীর অনুমোদনের পর সেই ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদনের পর তাকে মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এরপরই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। তিনি বলেন, মুক্তির ফাইলের পুরো প্রক্রিয়া বুধবারের মধ্যেই শেষ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত হয়ে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার মুক্তির দাবি করে আসছে বিএনপি।