হবিগঞ্জের মুখ রিপোর্ট ॥ নি¤œœ আয়ের মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। করোনার অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় খোলাবাজার ব্যবস্থার (ওএমএস) মাধ্যমে এ চাল বিক্রি করা হবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু হবে। জরুরি ভিত্তিতে নি¤œœ আয়ের মানুষদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সারাদেশে ৫০ লাখ কার্ডধারী নি¤œœ আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কর্মসূচি চালু রয়েছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের এর বাইরে এ বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে। অর্থনীতিবিদদের মতে আগামী ৩ থেকে ৬ মাস এক কোটি নি¤œœ আয়ের লোককে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। সরকারের এ পরিকল্পনা অনুযায়ী নি¤œœ আয়ের প্রতি পরিবারকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল দেওয়া হবে। এ হিসেবে মোট ৯০ হাজার টন চাল দেওয়া হবে। ট্রাকে করে খোলাবাজারে শহরের বিভিন্ন স্পটে কম দামে এ চাল বিক্রি করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নি¤œ আয়ের লোকজনকে নতুন করে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিতে বাড়তি ১৬৩ কোটি টাকা লাগবে।
প্রসঙ্গত, নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করেন। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল বিক্রি করা হয়। বর্তমানে এই খোলাবাজার ব্যবস্থায় প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামে চাল বিক্রয় করা হয়। এই পরিমাণ চাল কিনতে সরকারের খরচ পড়ে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ বর্তমানে কেজি প্রতি সাড়ে ১৩ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি করতে গেলে এ খাতে সরকারের ভর্তুকি আরও বাড়বে।