এসএম সুরুজ আলী ॥ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে হবিগঞ্জ জেলায় সব ধরণের সভা, সমাবেশসহ জনসমাগম ঘটতে পারে এমন অনুষ্ঠান বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। একই সাথে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলা সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের ষষ্ঠ তলায় ৫০ শয্যা এবং প্রতিটি উপজেলায় ৪টি করে শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের ১৪ দিন আইসোলেশনে রাখার জন্য জেলা পরিষদ হলরুম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরাও সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছেন। জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি এবং প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা কমিটি প্রতি রবিবার সভা করবে। ইতোমধ্যে তারা দু’টি সভা করেছেন। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিককে সমন্বয়ক করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ৩ জন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মর্জিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও এনডিসি প্রতীক মন্ডল, প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা প্রশাসক একাধিক দফা সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। জেলা প্রশাসক জানান, এখানে বিস্তীর্ণ এলাকা শিল্পাঞ্চল। এগুলোতে অনেক বিদেশী কাজ করেন। অনেক বিদেশী যাতায়াতও করেন। শিল্প কারখানাগুলোতে বলে দেয়া আছে যদি কোন বিদেশী আসেন বা যারা কাজ করেন তারা বিদেশ গেলে সে তথ্য যেন জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। তাছাড়াও জেলায় যদি কেউ বিদেশ থেকে আসেন বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালীসহ ৬টি দেশ থেকে আসেন তারা যেন নিজ বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। বিদেশ ফেরতদের নজরদারীতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত না হওয়ায় তিনি শোকরিয়া আদায় করেন। এ বিষয়ে অপপ্রচার না চালাতেও তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।