স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ¦ সৈয়দ মোঃ শাহজাহান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের সাধারণ মানুষ তাদের নিজেদের ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়েছে। এ মূর্হূতে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করেছেন। দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আমাদের নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসাবে এস.এম ফয়সল এর নাম দলীয় ভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেছেন। সৈয়দ ফয়সল বিগত দিনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে মাধবপুর-চুনারুঘাটে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতি বছর ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকেন। তাছাড়া এলাকার গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষা বৃত্তি ও মেধা বৃত্তি দিয়ে থাকেন। তিনি যদি আমাদের ভোটে এমপি নির্বাচিত হন তাহলে এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানে কাজ করবেন। তাই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। বুধবার রাতে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ¦ সৈয়দ মোঃ ফয়সলের সমর্থনে মাধবপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম খাঁ এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাপ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, সহ-সভাপতি মাসুকুর রহমান, আবুল বাশার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান খাঁন, মোঃ বাবুল হোসেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক জনি পাঠান, যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক সুজন, জসিম শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আলমগীর কবির, যুগ্ম আহবায়ক রাশেল আহম্মদ প্রমূখ।