নুর উদ্দিন সুমন ॥ হবিগঞ্জ থেকে আত্মসাৎ হওয়া ২৮১ বস্তা আতপ চাল কক্সবাজারে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সদর মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, জয়পুরহাট জেলার পূর্ব ইটাইল এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে সুলতান আহমেদ (৩১), মো. ইজ্জত আলীর ছেলে আফতাব হোসেন ওরফে মুখপোড়া ইমন (৪৫) এবং আব্দুর শুকুর ওরফে সোহেল (২৭)।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ অক্টোবর হবিগঞ্জের ‘মেসার্স মা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি’ থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৩০০ বস্তা আতপ চাল (মোট ১৫ টন) কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ছয় তারা রাইস এজেন্সি, কুতুপালংয়ের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। কিন্তু ট্রাক চালক কৌশলে প্রতারণা করে চাল নির্ধারিত গন্তব্যে না পাঠিয়ে পুরো চালান আত্মসাৎ করে। ঘটনার পর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হলে জেলা পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে হবিগঞ্জ ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শিহাবের নেতৃত্বে এবং সদর মডেল থানা পুলিশের যৌথ টিম কক্সবাজারের রামু থানা পুলিশের সহায়তায় রামুর চাকমারকুল নয়া চরপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে আত্মসাৎ হওয়া ২৮১ বস্তা আতপ চাল (মোট ১৪ হাজার ৫০ কেজি) ও ১২৭টি খালি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত চাল স্থানীয় ‘বিসমিল্লাহ মুড়ি মিলস’ এর গুদামঘর থেকে জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আফতাব হোসেন ওরফে মুখপোড়া ইমন একজন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে জয়পুরহাট, ঢাকা, মিরপুর, হাতিরঝিল, গাইবান্ধা ও বগুড়ার বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, বিশেষ ক্ষমতা আইন, দ্রুত বিচার আইন, অস্ত্র আইন ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রায় ১৫টি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর থেকেই হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের একাধিক টিম গোয়েন্দাভাবে কাজ শুরু করে। অবশেষে আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার ও আত্মসাৎ হওয়া চাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি চাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত চাল ও গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

