বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুলালপুর গ্রামবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, রায়পুর গ্রামের মোবাশ্বির মিয়া, হান্নান মিয়া, চলু মিয়া ও ধনু মিয়াসহ কয়েকজন স্থানীয়ভাবে ‘দেবতার গাছ’ সংলগ্ন জায়গায় জোরপূর্বকভাবে ঘর নির্মাণ করছেন। অথচ উক্ত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলমান এবং ১৯৮৪ সাল থেকে সেখানে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই স্থানে গ্রামবাসীরা পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য অনুসারে প্রতিবছর ধর্মীয় পূজা-অর্চনা করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ নিয়ে সেখানে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এ সময় গ্রামবাসী বাঁধা দিলে তাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হয় এবং গত দুইদিন যাবত গ্রামবাসীর কয়েকটি গরু-ছাগল আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
দুলালপুর গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী গোবিন্দ দাস বলেন, ‘এই জায়গাটি নিয়ে বহুদিন ধরেই মামলা চলমান এবং আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও সেখানে আইন অমান্য করে ঘর তুলা হচ্ছে। আমরা ইউএনও মহোদয়ের কাছে ন্যায্য বিচার চাই।’
এদিকে দুলালপুর-রাজানগর গ্রামের হিন্দুদের সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য মন্দরী ইউনিয়নবাসীকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। দক্ষিণ বানিয়াচং কৃষক দলের আহ্বায়ক ও সাবেক মেম্বার তাইদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং সানু মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ বানিয়াচং যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল হুদা, আব্দুল মিয়া, কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ এমরান, বদরুল আলম, আব্দুল হামিদ, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মতিন, কিম্মত আলী, মেখন মিয়া, নুরুল মেম্বার, আব্দুস সালাম, সবুর মিয়া মেম্বার, আব্দুল মান্নান, হাজী সিজিল মিয়া, গোলক দাস, চন্দ্র কুমার মেম্বার, দুষ্টু লাল দাস প্রমূখ। বক্তারা বলেন, নিরীহ মানুষের সম্পত্তি অবৈধ দখল মন্দরী ইউনিয়নবাসী মেনে নেবে না। ইউনিয়নবাসী হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুলালপুর গ্রামবাসীর পাশে থাকবে। অবিলম্বে তারা জায়গার অবৈধ দখল ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। মতবিনিময় সভা শেষে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দখলের সত্যতা পাওয়া গেছে। আজ বুধবার তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়টি অবগত করবেন বলে জানা গেছে।

