
জাতীয় সংগীত আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল স্তম্ভ। সেই সংগীতকে অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এক্টিভিস্ট ও উন্নয়নকর্মী মাহমুদা খাঁ’র আহ্বানে এই প্রতীকী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। হবিগঞ্জের সচেতন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং সকলে এক কণ্ঠে গেয়ে উঠেন… “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।” সেই গানে ছিল ভালোবাসা, প্রতিবাদ আর জাতিসত্তার গর্ব।
এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় সংগীতকে অবমাননার বিরুদ্ধে দৃপ্ত অবস্থান জানান এবং এ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও এক্টিভিস্ট সিদ্দিকি হারুণ, এক্টিভিস্ট ও উন্নয়নকর্মী মাহমুদা খাঁ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ইমদাদ মোহাম্মদ, স্বর্ণা রায়, বিডি ক্লিনের জেলা সমন্বয়ক সোহাগ গাজী, ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী রাশেদা বেগমসহ অনেকে। বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির আত্মত্যাগ ও সম্মিলিত স্বপ্নের ফসল। সেই সময়েও একটি গোষ্ঠী ছিল যারা জাতীয় সংগীত শুনলেই বিরক্ত হতো, ক্ষিপ্ত হতো। আজও আমরা সেই চক্রান্তের ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি। শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় যারা বাধা দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই এই দেশের মাটি ও মানুষের পক্ষে নয়।” প্রেস বিজ্ঞপ্তি