স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামের দুদু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়িতে জমজমাট জুয়াখেলার আসর বসছে। এতে বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়িরা সকাল থেকে মধ্যরাত জুয়াখেলায় মন্ত্র হচ্ছে। এর ফলে এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, স্নানঘাট গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সামছু মিয়া ও জাহির আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম নেতৃত্বে ও উত্তর স্নানঘাটের বাজুগাওয়ের আব্দুল মতলিব এর ছেলে জুয়েল মিয়া, আব্দুল মহিদ, সাজিম উদ্দিনের ছেলে রমজান আলীর সহযোগিতায় দুদু মিয়ার বাড়ি ও বাড়ির আশপাশ এলাকায় প্রতিদিন কয়েকটি জুয়ার বোর্ড বসানো হচ্ছে। জুয়ার বোর্ডগুলো মদ্যপান, ইয়াবা সেবনসহ প্রকাশ্যেই হচ্ছে। এক কথায় এদের কর্মকান্ড দেখলে মনে হবে যেন, মিনি ক্যাসিনো। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে জুয়ার এ আড্ডা। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা উঠতি বয়সী যুবক থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন। শুধু তাই নয়, ভয়ঙ্কর বিষয় হলো জুয়ার করাল গ্রাসে ডুবে বিপথে যাচ্ছে এলাকার স্কুল পড়–য়া কিশোররাও। এখানে জুয়া খেলার পাশাপাশি চলে রাতভর মাদকসেবন। বারবার প্রতিবাদ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। উল্টো জুয়াড়িদের হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে তাদের। তবে প্রশাসন বলছে জুয়া ও মাদক নিরাময়ে নিয়মিত টহল দিচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দুদু মিয়ার বাড়িতে জুয়াড়িরা সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সর্বনাশী ওয়ানটেন খেলা বসায়। জুয়ার পাশাপাশি মাদকসেবন চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জুয়াড়ি জানায়, পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা এসব করছে। তাছাড়া তাদের পাহারাদারও রয়েছে। প্রশাসনের কোনো সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই তারা খবর পেয়ে যায়। জুয়ার আসর বসানোর ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ জানান, স্নানঘাটে বিভিন্ন সময় মেলার নামে জুয়া খেলার আসর বসানো হয়। আমরা অভিযান করলে জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়। তবে যেখানেই জুয়ার আসর বসুক না কেন, আমরা সংবাদ পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে জুয়াড়িদের গ্রেফতার করবো। বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। জুয়াড়ি ও মাদকসেবীদের কোনো ছাড় নেই। এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।