স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর, চৌমুহনী ও বহরা ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালালেও পরক্ষণেই আবারো বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা শুরু করে দেয় চক্রটি। দিনে ও রাতে ড্রাম ট্রাক এবং ট্রাক্টর দিয়ে বালু এবং মাটি পাচার করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। তাদের ভাষ্য সব কিছু ম্যানেজ করেই তারা এ অপকর্ম করে যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একাট্টা।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা সামনে থেকে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি এক্সকাভেটর ও ড্্েরজার মেশিন দিয়ে অবাধে উত্তোলন করে বিক্রি করতেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররা আড়ালে চলে গিয়ে তাদের অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলনের স্থানগুলো বিএনপি নামধারি স্থানীয় মধ্যম সারির নেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। আর ওই সব পাতি নেতা নির্বিঘেœ অবৈধ উপায়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। কৃষি জমির উর্বর মাটি ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় যাচ্ছে। ফলে ট্রাক্টরের অত্যাচারে কাঁচা-পাকা সড়কের বেহাল দশা তৈরী হচ্ছে এবং জমির টপ সয়েল কৃষি জমি থেকে হারিয়ে যাওয়ায় ফসলি জমির উর্বরতা ও উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামসুল ইসলাম কামাল জানান- যারা দলের পরিচয়ে অবৈধ ভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করছে তারা মূলত দলের কোন নেতা বা কর্মী নয়। তারা সুবিধাবাদী।
এ ব্যাপারে মনতলা তহসিলের ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান বলেন- এতদিন সহকারি কমিশনার ছিল না বিধায় সব জায়গায় যাওয়া যায়নি। এখন স্যার যোগদান করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মজিবুল ইসলাম জানান- অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।