ভৌগলিক সীমানা সুরক্ষা এবং সীমান্তে চোরাচালান নারী ও শিশু পাচার রোধসহ সকল অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করছে বিজিবি ॥ অধিনায়ক তানজিলুর
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি। শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি সদর দপ্তরে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।
বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: তানজিলুর রহমান জানান, হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে গত ২৬ জুলাই ২০২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত আটককৃত ৭ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩১ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৪ হাজার ৭৫৬ বোতল বিদেশী মদ, ৩ হাজার ৪৮৮ বোতল ফেন্সিডিল, ৯ হাজার ৭৭৫ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ২৫ ক্যান বিয়ার এবং ২ হাজার ৮৮১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ তানজিলুর রহমান বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের ভৌগলিক সীমানা সুরক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন টহল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আমরা চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করছি। মাদকদ্রব্য চোরাচালান রোধে বিজিবি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে। যার ফলে আমরা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানজিলুর রাহমান আরো বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে পরামর্শ করে পরিবেশ ও সমাজ সুরক্ষার লক্ষ্যে ধ্বংসযোগ্য গাঁজা পরিবেশবান্ধব উপায়ে ধ্বংস করার একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ প্রক্রিয়ায় গাঁজার সাথে পরিমিত পরিমাণে বালি ও সিমেন্টের সংমিশ্রনে মাটি গর্ত করে মাটিতে চাপা দেওয়া হয়েছে। এটি মাদকদ্রব্য ধ্বংসের নতুন দৃষ্টান্ত এবং দেশের পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
তিনি আরও বলেন, মাদক সেবন ও পাচারের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মাদক নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এর জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফকরুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা সাহা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাজিদুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হরিপদ দাস।