স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা পরিবারের ফিসারির ভূমিসহ ভিটা দখলের চেষ্টা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় প্রকাশ্য দিবালোকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে পলাশ চৌধুরী বাদী হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওইদিন উপজেলার সৌলরী গ্রামের হারুন মিয়া চৌধুরীর পুত্র আনিস চৌধুরীর হুকুমে ঘরদাইর গ্রামের শামসু মিয়ার পুত্র এমায়ুন কবির, সৌলরী গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র নানু মিয়া, ঘরদাইর গ্রামের আনু মিয়ার পুত্র শহিদ মিয়া, মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র মুছা মিয়া, সৌলরী গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়াসহ ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মরহুম মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরীর পুত্র মোঃ পলাশ চৌধুরীর মালিকানাধীন ফিসারী সংলগ্ন ভিটা দখল করতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মৎস্য খামারের দায়িত্বরত পাহারাদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফিসারীর মাছের খাবারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। শুধু তাই নয়, ফিসারীর ঘর রামদা ও দা দিয়ে কুপিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পলাশ চৌধুরী।
মামলার বিবরণে আরো উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ শহরে বসবাসরত পলাশ চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাহারাদার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘরদাইর গ্রামের আনু মিয়ার পুত্র শহীদ মিয়াকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোপূর্বে পলাশ চৌধুরীর বড় ভাই হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মোঃ ফরিয়াদ ও তার পরিবারের জায়গা জোরপূর্বক দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রাণীর করার অভিযোগে বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পে উপরোক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চৌধুরী মোঃ ফরিয়াদ। এর পর অভিযুক্তদের কেউ কেউ ভবিষ্যতে মিথ্যা বানোয়াট বা হয়রাণীমূলক কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে না, এমনকি তাদের সহায় সম্পত্তি জবরদখল করার অপচেষ্টা করবে না মর্মে মুচলেকা দেয়। কিন্তু মুচলেকা দেয়ার পরও তারা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে।