নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর বাজারে অবস্থিত হোটেল আল সোহাগ এন্ড রেস্টুরেন্টের ভিতরে খসে পড়েছে ছাদের অংশ। এসময় গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- সকালে নাস্তা করার জন্য গ্রাহকরা প্রতিদিনের ন্যায়ে হোটেলে বসা ছিলেন। হঠাৎ শব্দ করে ছাদের দুইটি অংশ খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। এতে কয়েকজন গ্রাহক হাতে ও মাথায় কিছুটা আঘান পেয়েছেন। অন্যরা ভয়ে হোটেল থেকে দৌড়ে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ হোটেল বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়।
গ্রাহক নুরুল ইসলাম জানান, হোটেলে বসে চা পান করছিলেন তিনি। হঠাৎ ছাদের কিছু অংশ খসে পড়লে ভাগ্যক্রমে তিনি রক্ষা পেয়েছেন।
এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৎকালিন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম ২০১৬ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হোটেল আল সোহাগ ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অপসারণের জন্য নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অপসারণ করা হয়নি হোটেল আল সোহাগ ভবন।
এদিকে পরিত্যক্ত ভবন ঘোষণার ৮ বছর অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ভবনটি টিকিয়ে রেখেছেন ভবনের মালিক মোঃ কিম্মত আলী ও ভাড়াটিয়া হোটেল মালিক আব্দুল বাছির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, পৌরসভা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের নোটিশ জারির পর ভাড়াটিয়া হোটেল মালিক আব্দুল বাছির তৎকালীন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ছালেক মিয়াকে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে টিকিয়ে রাখেন ভবনটি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে ঝুঁঁকিপূর্ণ ভবনে চালিয়েছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসা।
তানভীর মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কিভাবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চলছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণ করা জরুরী। অন্যথায় যেকোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
আল সোহাগ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আব্দুল বাছির বলেন, ভবনের ছাদের কিছু অংশ খসে পড়লেও কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। পৌরসভার প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com