বিশেষ প্রতিবেদন…
মো. মামুন চৌধুরী ॥ মাচায় চাষ হয়েছে শিম, বরবটি ও চিচিঙ্গা। মাচার নিচে হলুদের গাছ। একই জমিতে ৪ ফসল চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন বাহুবল উপজেলার ভৈরভীকোনা গ্রামের কৃষক মো. জুয়েল মিয়া। ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মসলা (হলুদ) প্রদর্শনী মাচায় সবজি ও হলুদ চাষ করে এ ফলন পেয়েছেন ওই কৃষক। এসব ফসল চাষে তাকে পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম। প্রায় ২০ শতক জমিতে প্রথমে উন্নতজাতের হলুদ চাষ করা হয়। পরে মাচা তৈরী করে চিচিঙ্গা ও বরবটি চাষের সাথে শিমের চাষ। চিচিঙ্গা বিক্রির পর এখনও বরবটি বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিমের গাছ বড় হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে গাছে শিম আসবে। মাসখানের মধ্যে ক্ষেত থেকে হলুদ সংগ্রহ করে বিক্রি করা যাবে।
সরেজমিন গেলে কৃষক মো. জুয়েল মিয়া জানান, প্রায় ২০ শতক জমিতে ফসল করে আসছিলেন। কিন্তু ভালো ফলন পাচ্ছিলেন না। এখানে দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি হলুদ চাষ করেন। পরে মাচা তৈরি করে চাষ করেন চিচিঙ্গা, বরবটি ও শিম। মাচায় উৎপাদিত ফসল বিক্রি থেকে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। আশা করছেন হলুদ বিক্রি থেকে আরও লক্ষাধিক টাকা পাবেন। এসব চাষে তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চিচিঙ্গা বিক্রি শেষ হয়েছে। বরবটিও বিক্রি শেষের পথে। শিম গাছ বড় হচ্ছে। শিম ও হলুদ বিক্রি করতে আরও কিছুদিন লেগে যাবে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, চেষ্টা ও শ্রমের মাধ্যমে সফলতা আসে। কৃষক মো. জুয়েল মিয়া স্বল্প জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে সফলতার প্রমাণ দেখিয়েছেন। আমরাও নিজ নিজ জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করতে আগ্রহী।
উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, ফ্রিপ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক মো. জুয়েল মিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি জমি আবাদ করে হলুদ চাষ করেন। পাশাপাশি হলুদের ওপরে মাচা তৈরী করে সবজি চাষ করেন। এসব ফসল চাষে তিনি ভালো ফলন পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, আমি কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। কৃষকরা আমার পরামর্শ নিয়ে ফসল চাষে লাভবান হচ্ছেন।