ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জহিরুল হক বললেন
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সত্যিকার মানবসম্পদে পরিণত করতে। নিজ সংস্কৃতি চর্চায় বিমূখ জাতি বিশ্বে করে টিকে থাকতে পারেনা। পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরই নান্দনিক প্রকাশ। আমাদের সমাজ ও দেশের হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের যে আনন্দ-উদ্দীপনা রয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নিরন্তর প্রাণিত করে চলছে। সেগুলো কখনো মুছে যাবে না। পিঠা-পার্বণের এ অনাবিল আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও ঐতিহ্য যুগ যুগ টিকে থাকুক বাংলার ঘরে ঘরে। আজ মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সকাল ১০ টায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ আয়োজিত দিনব্যাপি পিঠা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক ফিতা কেটে পিঠা উৎসব ২০২৩ উদ্বোধনের প্রাক্কালে আরো বলেন, পিঠা বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বিজাতীয় সংস্কৃতির ছোবল থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশিয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শিব প্রসাদ সেন এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মোঃ মাসুদ রানা, প্রক্টর ড. মোঃ জামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, উৎসবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান ইয়াজদানি রাজুসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পরে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক ঘুরে ঘুরে সব কটি স্টল দেখেন ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন।
এ পিঠা উৎসবে মধুপুলি, বিবিখানা, আমদশা, সন্দেশ, চন্দ্রপুলি, দুধপুলি, দুধচিতই, ফুলঝুরি, লবঙ্গ লতিকা, ক্ষীরপুলি নামের দশটি স্টল অংশগ্রহণ করে। এ সকল স্টলে ছিল চন্দ্রপুলি, পাকুয়ান, মধুপুলি, ফুলঝুরি, দুধ সন্দেশ, পানতোয়া, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, নারিকেল পিঠা, দুধপুলি, নারিকেল সন্দেশ, পুলি পিঠা, চই পিঠা, জামাই পিঠা, গোলাপ পিঠা, চিতল পিঠাসহ আরও নানারকম পিঠার সমাহার। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ আয়োজনকে শীতের আমেজে উপভোগ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি