সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়নের গুনিপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ফরিদ খাঁন (৫০) নামে আহত এক ব্যক্তি টানা ২৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকার পিজি হাসপাতালে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ফরিদ খাঁন গুনিপুর গ্রামের মৃত ছাবু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর গুনিপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোরাব মিয়া গং ও নুরুল আমিন গংদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নুরুল আমিন খানের পক্ষের ফরিদ খান গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকার পিজি হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পিজি হাসপাতালে শুক্রবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।
নুরুল আমিন গংদের পক্ষের শরিফুল আলম খান দাবি করেন- মৃত আলতাফ আলীর ছেলে জিলু মিয়াকে (৮০) ছোরাব মিয়া গংরা নিজেরা খুন করে আমাদেরকে খুনের মামলায় আসামী করে হয়রানি করার পায়তারা করছেন মর্মে বিষয়টি লাখাই থানার ওসিকে অবগত করেছি। তিনি আরও দাবি করেন- ছোরাব মিয়া গংরা নিহতের সংবাদ পেয়ে তাদের ঘর বাড়ীর আসবাবপত্র তারা নিজেরাই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বন্দে আলী জানান, গুনিপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ফরিদ খাঁন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছেন। তিনি আরও জানান পুনরায় সংঘর্ষ, লুটপাট ভাংচুর ঠেকাতে গুনিপুর গ্রামে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় নুরুল আমিন খান বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর লাখাই থানায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।