স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বানিউন গ্রামে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির শিকার বানিউন গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ জুবায়েল আহমদ বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জিয়া উদ্দিন (৪৪)কে আসামী করে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগঃ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন- “আসামীর সহিত বিভিন্ন বিষয়ান্তরে মনোমালিন্যতা ও বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত ভূমিতে আমরা চাষাবাদ করিতে গেলেই বিভিন্ন সময় আসামী ও তাহার সহযোগিরা বিভিন্ন প্রকার বাধা বিঘœ সৃষ্টি করে। ইদানিং আসামী ও তার সহযোগিরা নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমিতে আমি ও আমার লোকজন চাষাবাদ করিতে গেলেই ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। আমি এ ব্যাপারে এলাকার ময়-মুরুব্বীয়ানকে অবহিত করিলে আসামী আমাদের প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হইয়া আমাদেরকে জানে মালে ক্ষতিগ্রস্ত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকিয়া ১৪/০৯/২০২৪ইং তারিখ রোজ শনিবার, সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমি দেখিতে গেলে তথায় পূর্ব হইতে উৎপাতিয়া থাকা উল্লেখিত আসামী ও অজ্ঞাত নামা আসামীরা আমাকে চারদিক হইতে ঘিরিয়া ধরে। তখন আসামী জিয়া উদ্দিন তাহার হাতে থাকা রামদা আমার গলায় ধরিয়া হুমকী দিয়া বলে এই জমি ভোগ দখল করিতে বা চাষাবাদ করিতে চাহিলে আমাকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। অন্যথায় এখানে আসিলে তোকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব। এইরূপ হুমকী শুনিয়া আমি হত বিহবল হইয়া পড়ি। আমি আসামীকে কোনরূপ চাঁদা প্রদান করিতে পারিব না বলিলে আসামীর সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত আসামীরা আমাকে কিল, ঘুষি মারিয়া আহত করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে শোর চিৎকার করিলে আশপাশ হইতে কোন কোন সাক্ষীগণ দৌড়াইয়া আগাইয়া আসিয়া দূর্দান্ত আসামীর কবল হইতে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। অন্যথায় দূর্দান্ত আসামী আমাকে নিশ্চিত খুন করিয়া ফেলিত। এই সময় আসামী আমাকে হুমকী দিয়া বলে ভবিষ্যতে কোন দিন আমি ময়-মুরুব্বীয়ানের নিকট বিচার চাহিলে বা মামলা মোকদ্দমা করিলে আমাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।
মামলায় বাদী জুবায়েল আহমদ আসামীকে দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।