ভোরবেলা বিছানায় ঘুমন্ত কোলের শিশু কিভাবে পুকুরে গেল এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি ॥ এলাকাবাসী ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড মনে করছেন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামে পুকুর থেকে চার মাসের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড মনে করছেন অনেকেই। চার মাসের একটি শিশু কিভাবে পুকুরে গেল? এর কারণ এখনও রয়ে গেছে অজানা। তবে পুলিশের গভীর তদন্তে মৃত্যুর সঠিক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেনের স্ত্রী মিনারা আক্তার তার চার মাসের কন্যা মাহমুদা আক্তার মীমকে বিছানায় রেখে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রান্না করতে যান। রান্না শেষে ফিরে এসে দেখেন, মীম বিছানায় নেই। কিছুক্ষণ পর পেছনের পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখেন। তার শোর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে বিষয়টি নবীগঞ্জ থানায় জানানো হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার পর চার মাসের ঘুমন্ত শিশু মীম কীভাবে পুকুরে গেল? তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও রহস্য দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। অনেকে মনে করছেন, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকা-। তারা দ্রুত তদন্ত করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
মৃত শিশুর মা মিনারা আক্তার বলেন, আমি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মীমকে বিছানায় রেখে রান্না করতে গিয়েছিলাম। রান্না শেষে এসে দেখি মীম বিছানায় নেই। পরে পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফি মিয়া বলেন, মীম আক্তার চার মাসের শিশু। বিছানা থেকে পড়ে যেতে পারে, কিন্তু সে কীভাবে পুকুরে যাবে, তা সন্দেহজনক।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, চার মাসের একটি শিশুর মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। শিশুর মা, চাচী, ফুফু, দাদীসহ অনেকেই থানায় এসেছেন। তাদেরকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।