সম্মানীর পরিমাণ পৌরসভার আয় অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। তবে ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। এবার সকল কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রশাসককে সহায়তায় সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সদস্য রাখা হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুব আলম। কমিটিতে প্রশাসককে সভাপতি করে জেলা সদর পৌরসভার জন্য ৮ জন সদস্য রাখা হয়েছে। আর উপজেলা সদর পৌরসভার জন্য প্রশাসকে সভাপতি ও ৬ জন সদস্য রাখা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমকেও অপসারণ করা হয়। তার জায়গায় হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক প্রভাংসু সোম মহানকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
কাউন্সিলরদের অপসারণ করার পর প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা করার জন্য সদস্য করা হয়েছে সিভিল সার্জন অথবা ডেপুটি সিভিল সার্জন, জেলা কৃষি কর্মকর্তা, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে।
এছাড়া নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ ও মাধবপুর পৌরসভায় প্রশাসকের কর্মসম্পাদনের জন্য সদস্য করা হয়েছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে।
আদেশে বলা হয়, সদস্যরা স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা (৪২)ক অনুযায়ী পৌরসভার প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা করবেন। এছাড়া বিধি অনুযায়ী কাউন্সিলরদের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।
আদেশে আরও বলা হয়, প্রত্যেক সদস্য প্রতিটি সভার জন্য উৎস কর কর্তন সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক সম্মানী প্রাপ্য হবেন। সম্মানীর পরিমাণ পৌরসভার আয় অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। তবে অবশ্যই তা ৩ হাজার টাকার বেশি হবে না।