ছারছীনা দরবার শরীফের গদ্দিনশীন পীর ও আমীরে হিযবুল্লাহ, আমীরে শরীয়ত ও তরীক্বত আলহাজ্ব মাওলানা মুফতী শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হোসাইন বলেছেন, মুমীন মুসলমানের ঈমানের পরিপূর্ণতা লাভ করবে তখনই যখন তাঁর আক্বিদা হবে বিশুদ্ধ এবং জীবন হবে নেক আমলে ভরপুর। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি, নৈকট্য ও তার দিদার লাভের জন্য সহীহ্ আক্বিদা এবং নেক আমলের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে- শুধু নেক আমল করলেই হবে না, নেক আমল কারীকে অবশ্যই দেখতে হবে তার মধ্যে রিয়াবা লৌকিকতা আছে কিনা। তিনি বলেন, লোক দেখানো ইবাদত-বন্দেগি মহান আল্লাহ পাকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইবাদত-বন্দেগি বা আমলের মধ্যে রিয়া বা লৌকিকতা দূর করে খাঁটি ইবাদত-বন্দেগী করতে চাইলে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলামী শরীয়তের পাশাপাশি তরীক্বত বা মারিফতের কঠোর অনুশীলন করা। আর এর জন্য প্রয়োজন হক্কানি পীর মাশায়েখদের ছোহব্বতে জীবন অতিবাহিত করা। কেননা আল্লাহওয়ালাদের ছোহব্বত ছাড়া আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এর সন্তুষ্টি এবং ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে মাধবপুর ছালেহাবাদ মাদ্রাসা ময়দানে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন ও ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কিবলা মোজাদ্দেদে যামান, কুতুবুল আলম শাহসুফী আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহ (রহঃ) এর স্মরণে ইছালে ছাওয়াব ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহ হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ও ছালেহাবাদ মাদ্রাসার সুপার আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালাম সৈয়দ ওবায়দুর রহমানের তত্ত্ব¡াবধানে হুজুর কিবলার সফর সঙ্গী উলামায়ে কেরামগণ ওয়াজ করেন। পরে বাংলাদেশ সহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি, ঐক্য ও মুর্দা মুসলমানের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি