স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও হবিগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান বলেছেন- গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় গণঅধিকার পরিষদের কোন বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। এই আন্দোলনের সুফলের অংশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের পতন হয়েছে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কেউ এখন আত্মগোপনে রয়েছেন আবার কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ বার লাইব্রেরী হলরুমে হবিগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি। এছাড়াও আন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। আহত ও নিহতের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। সংগঠনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং পৌর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক হৃদয়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সদস্য সচিব আবুল হোসেন জীবন, পেশাজীবি পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আতাউর রহমান রাসেল, জেলা মহিলা অধিকার পরিষদের নেত্রী কাজল রেখা। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আহ্বায়ক লোকমান হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ফরিদ আহমেদ, সদস্য সচিব হিরা মিয়া, লাখাই উপজেলা আহ্বায়ক শামছুল হক মালদার, বাহুবল উপজেলা আহ্বায়ক শফিউল আলম চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক ফুল মিয়া, হবিগঞ্জ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মীর দুলাল, যুগ্ম সদস্য সচিব হুমায়ূন কবির, মানিক মিয়া মেম্বার, এমরান মিয়া, শাহিদ সর্দার, শাহাবউদ্দিন, ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, শাহীন আহমেদ, মাহদী হাসান, সৈয়দ হাসান, রহমত রানা, ফিরোজ মিয়া, মাওলানা নোমান, সেলিম মিয়া, সবুজ মিয়া, কাদির মিয়া, রব মিয়া, তামান্না আক্তার অলি, রোজিনা আক্তার, মিশু আক্তার, সাজু আক্তার, লুৎফা, শাহানা, জবা, নীলা আক্তার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন- হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণপরিষদ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করেছেন। অথচ আন্দোলনে রিপন শীল ও মোস্তাক আহমেদ নিহতের ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা গণপরিষদ অন্যতম নেতা বাবুল মিয়া তার ভাই সাইকুল মিয়া ও গণ অধিকার পরিষদ নেতা আব্দুল মজিদকে আসামী করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় গণঅধিকার পরিষদ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।