স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমেরিকাতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই প্রকাশ করে প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক বাহুবলের আজহারুল চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর হাউজে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জোসেফ এডভাব এর সাথে সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার লিখা চৎরংড়হ উরধৎরবং নামে বইটি উপহার দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। এই প্রোগ্রামে তাকে সহযোগিতা করেন মার্কিন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ মাসুদুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আলী কবির চাঁন এবং নিউইয়র্ক আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী।
উল্লেখ, আজহারুল চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার খাগাউড়া চৌধুরী বাড়ির সন্তান। ছোট বেলা থেকে মা বাবার সঙ্গে নিউইয়র্কে পাড়ি দেন তিনি এবং সেখানে পুলিশ অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শুধু তাই নয় নিজের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করতে বার বার বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় পুরস্কার লাভ করেছেন আজহারুল চৌধুরী। নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ অফিসার হিসেবেও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য একাধিকবার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় আবারো নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ বইটি প্রকাশ করে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে নিউইয়র্কে আলোড়ন সৃষ্টি করলেন এই বাঙালি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আজহারুল চৌধুরী বলেন, আজ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের ছোট্ট এই লাল সবুজের বাংলাদেশ। যে দেশটি এখন বিশ্বের অন্যান্য মানুষের জন্য রোল মডেল হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। সেই স্বাধীন বাংলাদেশের নামটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে যে অমর চির বিপ্লবী মহানায়কের নাম চলে আসে তিনি আমাদের সকলের প্রিয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের মানচিত্র বিশ্বের বুকে ঠাঁই পেত না।
তিনি যেমন ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী মুক্তির সংগ্রামের নায়ক ঠিক তেমনি স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা, সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের জন্য অধিকার আদায়ে তিনি ছিলেন একটি পরিবারের পিতার মতো। তাই তো তিনি আজ জাতির পিতা।
আজহারুল চৌধুরী আরো বলেন যে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে ছিলেন তা আগস্টে এক কালো রাতের কয়েক মুহূর্তের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যায়। স্বাধীনতা বিরোধী বিপদগামী কিছু সেনার হাতে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের উপর বর্বরোচিত হামলা ছিল বাংলার স্বাধীনতা প্রিয় প্রতিটি মানুষের পিঠে চাবুকের কষাঘাতের মতো। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেদিন বঙ্গবন্ধু কেবল রক্তাক্ত হননি, রক্তাক্ত হয়েছিল স্বাধীন বাংলার পতাকাটিও। সেই রক্তের দাগ আজও শুকায়নি। তিনি আরো বলেন, আমি নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর এর সাথে সাক্ষাৎ করে বঙ্গবন্ধুর নামে আমার লিখা বইখানি সিনেটর এর হাতে তুলে দেই এবং পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর অদম্য চেতনা নতুন প্রজন্মকে লক্ষ্য অর্জনে অনুপ্রাণিত করে। দেশে কিংবা দেশের বাহিরে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আমাদের আরো বেশি যতœবান হওয়া উচিত। আমি চাই আমাদের সর্বোচ্চ সেরাটুকু দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করতে, যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও একটা দিকনির্দেশনা পায়।
পরিশেষে আজহারুল চৌধুরী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, আমরা আমাদের পেশাদার প্রচেষ্টায় দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেষ্টা অব্যাহত রাখব।