মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বললেন- রাস্তা ড্রেন অবকাঠামো উন্নয়ন ও সড়কবাতি খাতে বাজেটে রয়েছে ২০ কোটি টাকা ॥ নিজস্ব তহবিল হতে পুরাতন খোয়াই নদী পরিস্কারসহ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কাজে ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা ॥ গত ৩ বছর ৩ মাসে হবিগঞ্জ পৌরসভার নিজস্ব তহবিল হতে ২৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭শ ৭৬ টাকার ১৬৩টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন কর আরোপ ছাড়াই নতুন অর্থবছরের ৭১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। সোমবার বেলা ১২টায় হবিগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ বাজেট ঘোষণা করেন।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে মোট আয় দেখানো হয়েছে ৭০ কোটি ৯৮ লাখ ১৬ হাজার ৪শ ১২ টাকা। ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬৯ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৭ শ ৭৮ টাকা। উদ্বৃত্ত থাকবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬ শ ৩৪ টাকা।
নিজস্ব খাতে মোট আয় ১৯ কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ ১২ টাকা এবং ব্যয় ১৮ কোটি ৪০ লাখ ১৮ হাজার ৭শ ৭৮ টাকা। উন্নয়ন খাতে মোট আয় ৫১ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যয়ও দেখানো হয়েছে একই পরিমাণ টাকা।
বাজেটের উন্নয়ন খাতে সিলেট বিভাগের পৌরসভা সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এলজিইডি’র আওতায় রাস্তা, ড্রেন ও অবকাঠামো উন্নয়ন বাবদ দেখানো হয়েছে ১০ কোটি টাকা। জলবায়ূ তহবিল প্রকল্পের আওতায় সৌরচালিত সড়কবাতি স্থাপন ও ড্রেন নির্মাণ খাতে দেখানো হয়েছে ১০ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, ড্রেন ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে রয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২৫ পৌরসভা ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশন খাতে দেখানো হয়েছে ৫ কোটি টাকা। কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকোভারী প্রকল্পের আওতায় পূর্তকাজ ও পাবলিক টয়লেট নির্মানে দেখানো হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী, এডিপি’র আওতায় ব্যয় দেখানো হয়েছে ৭ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
রাজস্ব ব্যয়ের খাতে উল্লেখযোগ্য হলো রাজস্ব উদ্বৃত্ত উন্নয়ন হিসেবে স্থানান্তর ৪ কোটি টাকা। পানি সরবরাহ শাখা ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ২ কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার ৯২ টাকা। ড্রেন, খাল, বর্জ্য পরিস্কার এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরী ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। বিদ্যুত বিল ৪০ লাখ টাকা। স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬০ লাখ টাকা। ডাম্পিং সাইটের খরচ ২০ লাখ। পুরাতন খোয়াই নদী পরিস্কার পরিচ্ছন্নসহ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ৪৫ লাখ টাকা।
এছাড়াও নতুন বাজেটে রয়েছে যানজট নিরসনের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে ১৫ লাখ টাকা, বৃক্ষ রোপন ও রক্ষনাবেক্ষন ৫ লাখ টাকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান ২০ লাখ টাকা, ভ্যানগাড়ী ক্রয় ও মেরামত ১৫ লাখ টাকা, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান ৭ লাখ টাকা ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিােত আইসিটি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান ৭ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের কর্মকর ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মেয়র সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মেয়র বলেন,‘গত ৩ বছর ৩ মাসে হবিগঞ্জ পৌরসভার নিজস্ব তহবিল হতে ২৮ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭ শ ৭৬ টাকার ১৬৩ টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। তিনি বলেন ‘শহরবাসীর ২০ বছরের গলার কাঁটা বাইপাসের পার্শ্ব হতে আবর্জনার পাহাড় নতুন ডাম্পিং স্টেশনে অপসারণ করেছি। সাথে সাথে বাইপাসের পাশে বৃক্ষ রোপন করছি।’ শহর হতে পানি নিস্কশনের বড় বড় কয়েকটি খাল খনন করেছি। গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি কার্লভার্ট নির্মাণ করেছি। ফলে এই বছর ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ার পরও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর পানি যে দ্রুত গতিতে নিষ্কাশিত হয়েছে সেটি বিভিন্ন সেমিনার ও প্রচার মাধ্যমে বিশিষ্টজনেরা উল্লেখ করেছেন।’ তিনি বলেন,‘পুরোপুরি জলাবদ্ধতামুক্ত হতে গেলে আমাদেও আরো কিছু চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন।’ মেয়র বলেন,‘অটোরিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রনের জন্য এবং রাস্তার শৃংখলার জন্য আমরা শহরের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেছি। শীঘ্রই এই পরিস্থিতির একটি সুন্দও সমাধান ও সফলতা আসবে।’ মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন,‘পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে আয়বর্ধক প্রকল্প হিসেবে ইতিমধ্যে ৬০ টি দোকানঘর নির্মাণ করেছি। চন্দ্রনাথ পুকুরপাড় সংলগ্ন ৬৫ শতাংশ জমিতে সুপার মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।’
সম্মলেনে উপস্থতি ছলিনে হবগিঞ্জ প্রসেক্লাব সভাপতি রাসলে চৌধুরী, সাবকে সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকটে মনসুর উদ্দনি আহমদে ইকবাল, মোঃ ফজলুর রহমান, গোলাম মোস্তফা রফকি, অ্যাডভোকটে রহুল হাসান শরীফ, মোহাম্মদ নাহজি, শোয়বে চৌধুরী ও হারুনুর রশীদ চৌধুরী। এছাড়াও হবগিঞ্জে র্কমরত বভিন্নি প্রন্টি ও ইলক্ট্রেনকি মডিয়িার সাংবাদকিবৃন্দ উপস্থতি ছলিনে।
সংবাদ সম্মলেনে আমন্ত্রতি অতথিি হসিবেে উপস্থতি ছলিনে প্রফসের ইকরামুল ওয়াদুদ, প্রফসের ইলয়িাছ বখত চৌধুরী, হবগিঞ্জ চম্বোর অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্ররি সভাপতি মজিানুর রহমান শামীম, জলো আওয়ামী লীগরে সহ-সভাপতি ডাঃ অসতি রঞ্জন দাশ, হবগিঞ্জ জলো বাস, মনিবিাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমকি ইউনয়িনরে সাধারণ সম্পাদক মোঃ সজবি আলী, হবগিঞ্জ মটর মালকি গ্রুপরে সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়, হবগিঞ্জ প্রাইভটে ক্লনিকি ওর্নাস এসোসয়িশেনরে সাধারণ সম্পাদক শফকিুল বারী আওয়াল, সাবকে পৌর কমশিনার আব্দুল মোতালবি মমরাজ, প্রকৌশলী জয় কুমার রায়, প্রকৌশলী ওয়াহদিুজ্জামান বাবুল, বৃন্দাবন সরকারি কলজেরে প্রভাষক ফখরুদ্দনি খান পারভজে প্রমূখ।
পৌরসভার বাজটে ঘোষণাকালে পৌর কাউন্সরিলদরে মাঝে উপস্থতি ছলিনে মোঃ জাহরি উদ্দনি, টপিু আহমদে, শাহ সালাউদ্দনি আহাম্মদ টটিু, আলাউদ্দনি কদ্দুছ, সফকিুর রহমান সতিু, খালদো জুয়লে ও শখে সুমা জামান। এছাড়াও হবগিঞ্জ পৌরসভার বভিন্নি স্তররে র্কমর্কতাবৃন্দ উপস্থতি ছলিনে।
বক্তারা হবিগঞ্জ পৌরসভার আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য এবং দীর্ঘদিনের বর্জ্য সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য মেয়র আতাউর রহমান সেলিমকে ধন্যবাদ জানান।