![](https://dailyhabiganjermukh.com/wp-content/uploads/2024/07/009-2.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জে দুই শিশুর মরদেহ বস্তায় ভরে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৭ মাতব্বরের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নিহত শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস বাদি হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন- দীপেশ চন্দ্র সরকার, নিরঞ্জন তালুকদার, দীনমণি সরকার, অসিত দাস, ভীমলাল দাস, নিখিল দাস ও নিরঞ্জন দাস।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মারা যায় পাহারপুর (মাহমুদপুর) গ্রামের দুই শিশু প্রলয় দাস (৭) ও সূর্য দাস (৬)। ঘটনার পরদিন (৩০ জুন) দুপুরে শিশু প্রলয় দাসের মরদেহ শ্মশানে সমাধি দেয় তার পরিবার। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা জানার পর প্রলয়ের বাবা গোবিন্দ দাসকে ডেকে এনে শ্মশানে মরদেহ না রাখার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে সমাধি দেওয়া মরদেহ তুলে পানিতে ফেলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্তানের মরদেহ শ্মশানে রাখতে বাবার শত অনুরোধ আর পায়ে ধরে কান্নাও মন গলাতে পারেনি মাতব্বরদের। একপর্যায়ে মাতব্বরদের চাপের মুখে সন্তানের মরদেহ সমাধি থেকে তুলতে বাধ্য হন হতভাগা পিতা। পরে বস্তাবন্দি করে লাশ ফেলে দেন কালনী-কুশিয়ারা নদীতে। প্রলয়ের এমন পরিণতি দেখে অপর শিশু সূর্য দাসের পরিবারও তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়।
শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি তার ছেলের মরদেহ শশ্মানে রাখতে পঞ্চায়েত কমিটির পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু নেতারা মরদেহ নিজেরাই তুলে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিলে বাধ্য হয়ে তিনি মরদেহ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেন।
এর আগে, বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গত ৩ জুলাই আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদালতের বিচারক সোহেল ভূঁইয়া স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে আজমিরীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।