স্টাফ রিপোর্টার ॥ মামলার সাক্ষীর প্রতি অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল না করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিবেদন দেওয়ায় চুনারুঘাট থানার পুলিশ সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে হবিগঞ্জ সদর কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন গত ২৭ জুন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন তিনটি মামলায় গত ২ জুন বিনা তামিলে সাক্ষীর প্রতি অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করাকালে দেখা যায়, প্রসেস ফরমের পেছনে লেখা ‘সাক্ষীদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাদের আত্মীয়রা বলেছেন ধার্য তারিখ সাক্ষ্য প্রদান করবেন।’ তিনটি মামলার প্রসেস ফরমের পেছনে আত্মীয় হিসেবে তিন ব্যক্তির স্বাক্ষর ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। এতে বিজ্ঞ বিচারক মো. ইয়াছির আরাফাতের সন্দেহ হয়। তিনি প্রসেস ফরমের পেছনে থাকা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। ওই তিনজনের নাম সঠিক পেলেও তারা জানান, তারা এ ধরনের কোনো স্বাক্ষর করেননি কিংবা কোনো নোটিশ পাননি। তখন বিচারক আদালতে প্রসেস নিয়ে আসা কনস্টেবল সোহেল রানাকে খাস কামরায় ডেকে নিয়ে আদালতের কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞেস করলে কনস্টেবল সোহেল রানা অপরাধ স্বীকার করেন। এ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত দায়রা জজ এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে সদর কোর্টের পুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কনস্টেবল সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।