স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহাদ মিয়াকে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণা মামলায় ১ বছরের কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল রবিবার হবিগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেরিন সুলতানা তাকে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড উভয়দন্ডে দন্ডিত করেন।
জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের গানিং পার্ক এলাকার বাসিন্দা রাখাল কুমার গোপ সি.আই.পি’র সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আহাদ মিয়া ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তার কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা কর্জ নেন। পরে রাখাল কুমার গোপ চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার কাছে ওই টাকা ফেরত চাইলে ২০২১ সালের ২ নভেম্বর তিনি ৫ লাখ টাকা প্রদান করেন। অবশিষ্ট ১১ লাখ টাকা প্রদান করবেন বলে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড হবিগঞ্জ শাখায় তার নামীয় হিসাব নং-০০০৭১৩৩০০৯৪২৫ এর বিপরীতে ২৮৮৪০৬৮ নম্বরে ৫ লাখ টাকার পোস্ট ডেটেড চেক ইস্যু করেন। এ সময় তিনি রাখাল কুমার গোপকে একটি লিখিত অঙ্গীকার নামাও প্রদান করেন। পরে একই বছরের ২৮ জুলাই রাখাল কুমার গোপ ঢাকা ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখায় তার নামীয় হিসাব নং-১৫৪১৫০০০০০১১২ তে চেকটি জমা করলে অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে তা ডিজঅনার হয়। এ ঘটনায় রাখাল কুমার গোপ ৮ আগস্ট চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার ঠিকানায় লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলে ১০ আগস্ট তিনি তা গ্রহণ করেন। নোটিশ প্রাপ্তির পর চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া নোটিশের জবাব না দিলে রাখাল কুমার গোপ অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা ও প্রতারণার অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬৩৯/২০২২ইং। ওই মামলায় গতকাল আদালত চেয়ারম্যান আহাদ মিয়াকে ১ বছরের কারাদন্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শরফুল হুদা চৌধুরী খোকন ও আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরফুল হুদা চৌধুরী খোকন জানান, মামলার রায়ে চেয়ারম্যান আহাদ মিয়াকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ লাখ অর্থদন্ড করেছেন আদালত।