প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ১৩ বছর বিনা বেতনে বানিয়াচং উপজেলার সুটকি (পুরানো হুকুন নদী) এফসিডি প্রকল্পের ভাটিপাড়া স্লুইচ গেইট দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন অর্জন আলী নামে এক ব্যক্তি। বিনিময়ে সরকারি ৩ একর ৪২ শতক ভূমিরও রক্ষণাবেক্ষণ করছেন তিনি। সম্প্রতি তাকে সরিয়ে সরকারি ওই ভূমি জোরে বলে দখলের পায়তারা করছে কতিপয় লোক। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে আবেদন করেছেন অর্জন আলী।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, দোয়াখানী গ্রামের নজির ইসলাম, শামসুল মিয়া, রফিক মিয়া, আহিম বাদশা, আজিজুল ও আবুল বাদশা লোকমুখে প্রচার করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একোয়ারভুক্ত ভূমি তাদের নামে বর্তমান জরিপে মালিকানা কাগজ হয়ে আসছে। তাই অর্জন আলীকে স্লুুইচ গেইট ও ওই ভূমির রক্ষণাবেক্ষণ থেকে সরে যেতে বলে। বিনিময়ে তাকে টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু এতে অনীহা প্রকাশ করলে তাকে সরাতে ষড়যন্ত্রসহ হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে তারা। গত বছরের ডিসেম্বরে অর্জন আলী হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে রিবিন সার্ভে শাহাদাত হোসেন ও অফিস সহায়ক রিপন আচার্যী অভিযোগকারী অর্জন আলীকে জানান, উক্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করে অবস্থান জানাতে নির্বাহী প্রকৌশলী তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা অর্জন আলীকে স্লুুইচ গেইটের হ্যান্ডেল অফিসে জমা দিতে বলেন। অর্জন আলী ১১ জানুয়ারি হ্যান্ডেলটি অফিসে এসে রিপন ও শাহাদাত হোসেনের কাছে জমা দিলে তারা স্লুুইস গেইট রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অর্জন আলীকে বিরত থাকতে বলেন। এরপর থেকে তিনি তাদের কথামতো বিরত থাকেন। গত ৪/৫ দিন ধরে লোকমুখে শুনা যাচ্ছে স্লুুইস গেইটের নাট বল্টু কে বা কারা নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য অর্জন আলীকে দায়ী করে তাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে ভূমিটি অবৈধভাবে জবর দখলের চেষ্টার বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ আরফান উদ্দিন লিখিতভাবে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানালেও এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
অর্জন আলী আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, তার পিতা ছুরত আলী ১৮ বছর স্লুইচ গেইট পাহারা দেন। তিনি মারা যাওয়ার পর অর্জন আলী গত ১৩ বছর ধরে বিনা বেতনে দিন-রাত পরিশ্রম করে পাহারা দিয়ে আসছেন। তাকে যদি স্লুুইচ গেইট ও উক্ত ভূমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাহলে বৃদ্ধ বয়সে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে তাকে। তাই তিনি জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিকার দাবি করেন।