স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী আব্দুল হামিদের কলেজপড়–য়া কন্যা শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বখাটেদের প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর রাত ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই কলেজছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন- লস্করপুর গ্রামের মোঃ জালাল মিয়ার পুত্র রিয়াজ (১৬), ছত্তর মিয়ার পুত্র সজিব মিয়া (১৮), আব্দুল হাসিমের পুত্র মোহন মিয়া (২০), ইয়াছ উদ্দিন মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়া (২১) ও রহিম উদ্দিনের পুত্র আকাশ মিয়া (১৭)।
মামলায় বাদী আব্দুল হামিদ জানান, তার মেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। কলেজে আসা যাওয়ার পথে উল্লেখিত বখাটেরা তার মেয়েকে সুযোগ বুঝে রাস্তায় একা পেয়ে প্রায়ই কু-প্রস্তাবসহ প্রেম প্রস্তাব করত। তার মেয়ে বখাটেদের কার্যকলাপে কোন সাড়া না দিয়ে বিষয়টি পিতাকে জানালে তিনি তাদের অভিভাবকদের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। তাদের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা কোন পদক্ষেপ নিতে না পারায় বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করা হয়। তারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কিছু বলেনি।
ঘটনার সময় আব্দুল হামিদ ও তার বড় ছেলে বাড়িতে না থাকার সুবাদে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বসতঘরে হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা দিয়ে ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তার স্ত্রী, মেয়ে ও বড় ছেলের বউ বাধা দিলে তাদেরকে মারধোর করা হয়। এই সুবাদে বসতঘরের আলমিরাতে থাকা নগদ ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, একটি স্মার্টফোন, স্ত্রীর গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে তারা পালিয়ে যাবার আব্দুল হামিদের বড় ছেলেকে রাস্তায় একা পেয়ে কিল ঘুসি দিয়ে স্মার্টফোন নিয়ে যায়। ঘটনার সময় আব্দুল হামিদ ও তার ছেলে পুরানবাজারে অনুষ্ঠিত এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর মিটিংয়ে ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুধু তাই নয়, আসামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তারা খারাপ প্রকৃতির লোক। গ্রামের কোনো বিচার সালিশ তারা মানে না। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে।