আমাদের ফেলে দেয়া বর্জ্য প্রতিদিন পরিস্কার করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা, তাই তাদের প্রতিও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে ॥ মেয়র
পরিচ্ছন্নকর্মীরা আমাদেরই পরিবারের সদস্য। নিত্যদিনের আবর্জনা পরিস্কার করতে তাদেরকে অনেক ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু আমরা তাদের কল্যাণে কতটুকুইবা ভূমিকা রাখতে পারি। গ্যাংগ্রিন রোগে পা হারানো পরিচ্ছন্নতাকর্মী আছকির মিয়ার হাতে দোকানঘর অনুদানের চাবি হস্তান্তরকালে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মীরা আমাদেরই সমাজের এবং আমাদেরই পরিবারের সদস্য। কিন্তু তারা জীবিকার তাগিদে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিজেদেরকে জড়িত করেছেন। আমাদের ফেলে দেয়া বর্জ্য তাদেরকে প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পরিস্কার করতে হয়। এ সমস্ত আবর্জনা পরিস্কার করতে গিয়ে অনেক সময় তারা আহত হন। মূলত তারা তাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখেই নোংরা আবর্জনা পরিস্কারের কাজটি করে থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা সঠিকভাবে নির্ধারিতস্থানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে রাস্তা-ঘাটসহ যেখানে সেখানে ফেলে দিই। মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মী আছকির মিয়ার অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করায় সে এখন পা হারালেও সুস্থভাবে জীবনযাপন করছে। তার সহযোগিতায় যেমন আমরা এগিয়ে এসেছি, তেমনি অন্যান্য পরিচ্ছন্নকর্মীর নানা সমস্যায়ও আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবো।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে গ্যাংগ্রিন আক্রান্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আছকির মিয়ার অপারেশনের ব্যবস্থা করেন মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরভবন প্রাঙ্গনে হবিগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ ইকবাল চৌধুরীর উদ্যোগে আছকির মিয়াকে মালামালসহ একটি দোকানঘর অনুদান দেয়া হয়। ওই দোকান ঘরের নাম দেয়া হয় স্বপ্নের বাতিঘর। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ঘরের চাবি আছকির মিয়ার হাতে তুলে দেন মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। মোঃ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, আছকির মিয়া যাতে নিজে কাজ করে তার জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তাই তাকে দোকানঘর উপহার দেয়ার চিন্তা করেছি। চাবি হস্তান্তরকালে হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত, সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়ঃ নিস্কাশন) আবদুল কদ্দুছ শামীমসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি