চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় ৪ জনের নাম
এম, এ আহমদ আজাদ ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী। গতকাল সোমবার দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার পর থেকে আলোচনা হচ্ছে কে হচ্ছেন পরবর্তী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য ৪ প্রার্থীর নাম ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের নতুন প্রশাসক নিয়োগ করবে।
ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী জানান, সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় সোমবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সড়ে যেতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন দলীয় সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এই আসনটি তিনি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, জেলায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য হবিগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী প্রয়োজন। তিনি বলেন- প্রধানমন্ত্রী সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
এদিকে ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর আলোচনায় আসে কে হচ্ছেন পরবর্তী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তবে এ তালিকায় ৪ জনের নাম ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। তারা হলেন- হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মোঃ শাহনওয়াজ মিলাদ ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমি বর্তমানে জেলা পরিষদ নিয়ে ভাবছি না। আমাকে নেত্রী যে দায়িত্ব দিবেন আমি সেটা মেনে নিবো।