স্টাফ রিপোর্টার ॥ গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি মামলায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি উত্তম রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলে বাদীর অভিযোগ। সম্প্রতি হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-১) আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের লোকেশ রায় গংদের সাথে আসামীদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে আসামী উত্তম রায় গং গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকেশ রায়ের বাড়িতে যান। এ সময় লোকেশ রায়ের বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় উত্তম রায়সহ অন্যান্য আসামীরা গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় লোকেশ রায়ের স্ত্রী রুমা রানী রায় এর প্রতিবাদ করলে আসামীরা উত্তেজিত হয়ে রুমার ঘরে প্রবেশ করে তার উপর হামলা চালায় এবং শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে রুমা শোর চিৎকার করলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় রুমা রানী রায়কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১ অক্টোবর গৃহবধূ রুমা রানী রায় বাদী হয়ে উত্তম রায়সহ ৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী ৭দিনের মধ্যে আদালতে এমসি দাখিল করার জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আরএমওকে আদেশ প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ৭দিনের ভিতরেই আদালতে এমসি দাখিল করেন। আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে উত্তম রায়কে গ্রেফতার না করায় ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত নির্যাতিত গৃহবধূ রুমা রানী রায় ও তার পরিবারের সদস্যরা।