চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ জেলা বারের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী চুনারুঘাটের কৃতি সন্তান অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল উপজেলার বাদশারগাঁও গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজার নামাজ পূর্ব বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোছাব্বির বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান, মিরাশী ইউপি চেয়ারম্যান মানিক সরকার, চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন শামসু, সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মীর সিরাজ, অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক, সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু তাহের মহালদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ফয়সাল আহমেদ সোহান, ছুরত আলী, লিলু সরকার সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় ঢাকাস্থ একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল প্রায় ৭৪ বছর।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের বাদশারগাঁও গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার সরদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জীবদ্দশায় অর্জন করেছেন অসংখ্য খ্যাতি। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন একজন অদম্য মেধাবী। ছাত্ররাজনীতিতে তার ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯৬৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ চুনারুঘাট উপজেলার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধেও ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) হবিগঞ্জ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি প্রায় ১০ বছরের মতো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে সিলেট ও সুনামগঞ্জে চাকুরী করেন। ১৯৮৪ সালের দিকে তিনি আইন পেশার সাথে সম্পৃক্ত হন এবং দীর্ঘ ৪০ বছর আইন পেশার সাথে জড়িত ছিলেন। এই সময়ে তিনি হবিগঞ্জ বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গাউছিয়া কমিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের জেলা কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কোর্ট মসজিদের সহ-সভাপতি ও কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। ছিলেন একজন ক্রীড়াবিদও। তাছাড়া তিনি একজন পরোপকারী, নামাজী ও ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়ে, ভাই-ভাতিজা সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।