জেলা প্রশাসকের কাছে রায়হানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে সরলতার সুযোগ নিয়ে এক লন্ডন প্রবাসীর ১ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মোঃ রায়হান উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ১২ অক্টোবর গাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির খান লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গোবরখলা গ্রামের বাসিন্দা মরহুম হাজী ইসহাক মিয়ার পুত্র লন্ডন প্রবাসী মোঃ আতাউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে বসবাস করছেন। দেশে থাকা তার জমিজমা একই গ্রামের আব্দুল হাশেম ও তার আত্মীয় স্বজনরা বর্গা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এরই সুবাদে প্রবাসী আতাউর রহমানের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আব্দুল হাশেমের পুত্র শেয়ার ব্যবসায়ী মোঃ রায়হান উদ্দিন। সে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য কৌশল অবলম্বন করে প্রবাসী আতাউর রহমানের নিকট টাকা চায়। রায়হান উদ্দিন পূর্ব পরিচিত হওয়ায় প্রবাসী আতাউর রহমান তাকে ওয়ান সিকিউরিটি ব্যাংক মতিঝিল শাখায় ২ কোটি ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু তিনি প্রবাসে থাকায় ওই টাকা উত্তোলনের জন্য রায়হান উদ্দিন প্রবাসী আতাউর রহমানের নিকট থেকে কৌশলে আমমোক্তারনামা করে নেয়।
এদিকে প্রবাসী আতাউর রহমান দেশে থাকা তার যাবতীয় সহায় সম্পদ দেখাশুনার জন্য তার ভাতিজা গাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ন কবিরকে আমমোক্তারনামা করে দেন। তিনি ওয়ান সিকিউরিটি ব্যাংকে প্রবাসী আতাউর রহমানের জমাকৃত টাকার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারেন রায়হান উদ্দিন আমমোক্তারনামার বলে ওই টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে প্রবাসী আতাউর রহমানের ভাতিজা হুমায়ুন কবির জানান, রায়হান উদ্দিনের পূর্ব-পুরুষরা তার চাচার জমিজমা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের মধ্যে রায়হান উদ্দিন পড়াশোনা করে চালাক চতুর হয়েছে এবং শেয়ার ব্যবসা করতেন। রায়হান প্রবাসী আতাউর রহমানের সরলতার সুযোগ নিয়ে আমমোক্তারনামা নিয়ে উক্ত টাকা আত্মসাত করেছেন।
তিনি আরও জানান, শুধু রায়হানই নয়। তার একটি চক্র রয়েছে। যারা গাজীপুর ইউনিয়ন ও আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের দুই সহযোগী রয়েছে। যারা মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে রায়হান উদ্দিন বলেন, আমি কোনো টাকা পয়সা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।