মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ ওডিসি-৩ জাতের বারোমাসি সজিনার জাত ফল সুস্বাদু। বীজ বপনের ৩-৪ মাসের মধ্যে ফুল আসে এবং ৬ মাসে ফসল আসে। গাছগুলি বছরে ৮-১০ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পায় এবং ৬-১০টি প্রাথমিক শাখা তৈরি করে। ফুলগুলি ৫০-২০০ ক্লাস্টারের ক্লাস্টারে থাকে। শুধুমাত্র একটি শুঁটি সাধারণত বিকাশ করে এবং খুব কমই প্রতি ক্লাস্টারে ৩-৫ টি হয়। ফল-ডাটা ২ ফুট থেকে ২.৫ ফুট লম্বা এবং ২.৫ ইঞ্চি ঘের এবং ৮০% মাংসসহ ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম ওজন হয়। জাতের গড় ফলন ৩০০ টি ফল প্রতি গাছ। আনুমানিক ফলন প্রতি বছর প্রতি একর প্রায় ২৫-৩০ টন। ফুল ফোটার ৬৫ দিন পর শুঁটি খাবার উপযোগি হয়। প্রতিটি গাছ ১০-১৫ বছর ধরে ফলন দেয়। প্রতি বছর পর পর মাটির স্তর থেকে ৩ ফুট গাছ কেটে ফেলতে হবে। পানি ও সার অনেক কম প্রয়োজন হয়।
সজিনা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এসব কথা চিন্তায় এনে প্রশিক্ষণ শেষে ৩০জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে একটি করে সজনে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সাথে দেওয়া হয়েছে ১৪ জাতের সবজি বীজও। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) শায়েস্তাগঞ্জে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির অঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় ২দিন ব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণের সমাপনীতে বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান। এর আগে সোমবার (২ অক্টোবর) উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।