শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বরখাস্তকৃত ভিলেজ ইলেক্ট্রিশিয়ান মোঃ জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রাহক কর্তৃক সেচ সংযোগের বৈদ্যুতিক খুঁটির ৬৪ হাজার ৫শ’ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গ্রাহক মোঃ ওয়াহিদ মিয়া গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের মৃত ইলেক্ট্রিশিয়ান আব্দুল আহাদের পুত্র ভিলেজ ইলেক্ট্রিশিয়ান মোঃ জামাল মিয়া বাহুবল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত নিয়ামত উল্লাহর পুত্র মোঃ ওয়াহিদ মিয়ার নিকট থেকে সেচ সংযোগের জন্য ২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয় বাবদ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা নগদে নেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে খুঁটি ও উক্ত টাকার রশিদ দেওয়ার কথা থাকলেও সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা দেয়নি ও গ্রাহকের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহক তার সাথে যোগাযোগ করলে সে পুনরায় আরো এক সপ্তাহের সময় নেয়। পরে সে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুঁটি ও রশিদ না দেয়ায় ভুক্তভোগী গ্রাহক খুঁটির টাকার রশিদ না পেয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত তাকে আর ওই ভুক্তভোগী গ্রাহক খুঁজে পাননি। শেষে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ওই ভুক্তভোগী গ্রাহক গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর প্রতারক ভিলেজ ইলেক্ট্রিশিয়ান জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী গ্রাহক গত দুই সপ্তাহ পূর্বে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এম এস সি গোলাম রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে জানান, ইলেক্ট্রিশিয়ান জামাল মিয়া আমাদের অফিসের তালিকাভুক্ত প্রতারণা মামলার আসামি। এসময় তিনি ভুক্তভোগী গ্রাহককেও আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে গোলাম রব্বানী গ্রাহককে আরো জানান, প্রয়োজনে তদন্ত সাপেক্ষে জামালের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার প্রমাণপত্র চাইলে তার অফিস দেখাতে পারবে। এমতাবস্থায় ইলেক্ট্রিশিয়ান জামালের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেনারেল ম্যানেজার বরাবর দাবি জানিয়েছেন অভিযাগকারী।